অভিযুক্ত অধরাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
বেলুড়ের তরুণীর গায়ে আগুন ধরানোর ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক ধরা পড়ল না মঙ্গলবারও। অন্য দিকে, তরুণীর শরীরে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় তাঁকে এ দিন কলকাতার হাসপাতালে আনা হয়। পুলিশ জানায়, ভোটবাগানের বাসিন্দা ওই যুবক দু’বছর ধরে বাড়িতে না থাকলেও এলাকায় ঘোরাঘুরি করত। কিন্তু এলাকায় কেউ তার হদিস দিতে পারছেন না। হাওড়া সিটি পুলিশের এডিসি (নর্থ) শ্রীহরি পাণ্ডে বলেন, “তল্লাশি চলছে। অভিযুক্তের মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।”
দুর্ঘটনায় প্রৌঢ়ার মৃত্যু, অবরোধ
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল প্রৌঢ়ার। আহত হলেন দু’জন। মঙ্গলবার পাণ্ডুয়ার দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের মালঞ্চ-কামতাই গ্রামের ভাস্তারা-মহানাদ রোডে ওই দুর্ঘটনার প্রতিবাদে এবং ‘হাম্প’-এর দাবিতে বাসিন্দারা চার ঘণ্টা অবরোধ করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বেলা তিনটে নাগাদ ওই রাস্তায় একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে এক যুবককে, তারপর এক কিশোরীকে এবং শেষে বাসন্তী বাউল দাস (৫৮) নামে এক প্রৌঢ়াকে ধাক্কা মারে। গাড়ি ফেলে রেখে চালক পালান। বাসন্তীদেবী ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর বাড়ি কামতাই গ্রামে। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরেই গ্রামবাসীরা বিকেল ৩টে থেকে অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, সম্প্রতি রাস্তা সংস্কার হওয়ায় বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চলছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে তাঁরা রাস্তায় ‘হাম্প’ তৈরির দাবি তোলেন। পুলিশ গিয়ে দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার সকালে পুড়শুড়ার পশ্চিমপাড়ার ঘটনা। মৃতের নাম নবকুমার সামন্ত (৩৬)। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বেলা ১১টা নাগাদ রেললাইনে বসে ছিলেন ওই যুবক। আরামবাগগামী লোকালের ধাক্কায় তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়।
শীতের মুণ্ডেশ্বরীতে এখন এ ভাবেই চলছে পারাপার। ছবি: মোহন দাস।