দাদা-বোন সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না, পাপিয়া

দাদা তৃণমূল সাংসদ। বোন বিজেপি প্রার্থী। পারিবারিক সম্পর্ক যাই হোক, দলীয় আদর্শ ভিন্ন জায়গায়। পেশায় আইনজীবী পাপিয়া পাল বায়েন এ বার চন্দননগর পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দাদারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু পার্থ দত্তের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

পাপিয়া পাল বায়েন। —নিজস্ব চিত্র।

দাদা তৃণমূল সাংসদ। বোন বিজেপি প্রার্থী। পারিবারিক সম্পর্ক যাই হোক, দলীয় আদর্শ ভিন্ন জায়গায়। পেশায় আইনজীবী পাপিয়া পাল বায়েন এ বার চন্দননগর পুরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দাদারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু পার্থ দত্তের বিরুদ্ধে। পাপিয়াদেবীর দাদা তৃণমূলের সাংসদ ও অভিনেতা তাপস পাল। জন্ম থেকেই চন্দননগরের বাসিন্দা হলেও পরবর্তী কালে কর্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন তাপসবাবু। তিনি যে দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ, তার বিরোধী দলের আদর্শে অনুপ্রাণিত বোন পাপিয়া এ বার দাদার দলের বিরুদ্ধেই ভোটযুদ্ধে ময়দানে নেমেছেন। হঠাৎ বিজেপিতে? পাপিয়াদেবীর দাবি, কোনও দলের প্রতি কারও ভালবাসা একেবারেই তাঁর নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিজেপিতে। চান দলের একজন অনুগত সৈনিক হতে।

Advertisement

দাদা-বোনের সম্পর্কে কোনও প্রভাব? পাপিয়াদেবীর উত্তর, “দাদা-বোনের সম্পর্ক সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। তা ছাড়া এ তো নতুন নয়। একই পরিবারে এক এক জন সদস্য আলাদা আলাদা দলের আদর্শ নীতি মেনে চলার উদাহরণ রয়েছে। আমার কোনও রাজনৈতিক তকমা ছিল না। নরেদ্র মোদীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই দলের প্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কিছু কাজ করতে চাই। হারা-জেতা পরের কথা।’’

কী বলছেন তৃণমূল প্রার্থী? তৃণমূল প্রার্থী পার্থ দত্তের কথায়, “গত নির্বাচনে জিতে সারা বছর ধরে মানুষের পাশে থেকে তাদের সমস্যা সমাধান করেছি। পাপিয়াদেবীর দাদা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমাদের দলেরই সাংসদ। ওর বোন আমার বিরুদ্ধে অন্য দলের হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ক্ষোভ নেই। এলাকার উন্নয়নে যে কাজ করেছি মানুষ তার মূল্যায়ন করবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন