ফের বেপরোয়া যান। ফের দুর্ঘটনা।
হাওড়ায় লরির চাকায় পিষে প্রাণ হারাল সাত বছরের শিশু। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে বাসের রেষারেষিতে মৃত্যু হল সাইকেল আরোহী এক যুবকের। বিধান সরণিতেও বাসের চাকায় হাত খোয়ালেন এক মহিলা।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ হাওড়ার বালিটিকুরি নিউ মোল্লাপাড়ার হাওড়া-আমতা রোডে রাস্তা পেরোচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আফজল (৭)। তীব্র গতিতে আসা ইট বোঝাই একটি লরি তাকে ধাক্কা মেরে সেই অবস্থাতেই প্রায় ফুট দশেক টেনে দিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা লরিটিকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। চালককে নামিয়ে শুরু হয় গণপ্রহার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আফজলকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পরেই স্থানীয় কয়েকশো বাসিন্দা পথ অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান অবরোধকারীরা। ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ ওঠে। লরিচালককে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, এ দিন দুপুরে পার্ক সার্কাস থেকে একটি বেসরকারি বাসে ওঠেন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের সীতা রাউত। বিবেকানন্দ রোডে যাচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ জানায়, দেড়টা নাগাদ বাস সিগন্যালে আটকে পড়লে কৈলাস বসু স্ট্রিট এবং বিধান সরণির মোড়ে নেমে পড়েন ওই মহিলা। রাস্তার ধার ঘেঁষে তিনি গলির দিকে যাওয়ার পথে সিগন্যাল সবুজ হয়ে গেলে বাসটি আর একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। রাস্তায় উপুড় হয়ে পড়ে যান সীতা। বাসটি তাঁর ডান হাতের উপর দিয়ে চলে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে তুললে দেখা যায় থেঁতলে যাওয়া হাতটি কাঁধ থেকে ঝুলছে। হাসপাতালে তাঁর হাতটি কেটে বাদ দিতে হয়। বাসচালক কেশব মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বাসটিকেও। গত ৫ মে বেহালায় এক দুর্ঘটনায় হাত কাটা যায় বাগনানের বাসিন্দা এক মহিলার। গাড়ি থেকে হাত বার করে বসেছিলেন তিনি। উল্টো দিক থেকে গাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটে।
এ দিকে, এ দিনই বিকেল তিনটে নাগাদ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে রামমন্দিরের সামনে মদন চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মোড়ে বাসের রেষারেষির সামনে পড়ে আহত হন সাইকেল আরোহী এক যুবক। হাসপাতালে পরে মৃত্যু হয় পঙ্কজ গুপ্ত (২৩) নামে ওই যুবকের।