সপ্তাহের প্রথম দিনেই অচলাবস্থা চুঁচুড়া আদালতে

কর্মবিরতি, নাজেহাল বিচারপ্রার্থী

আদালত ভবনের উন্নয়ন-সহ ১১ দফা দাবিতে চুঁচুড়া জেলা আদালতে কর্মবিরতি পালন করলেন চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবীরা। আর তার জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই ভোগান্তিতে পড়লেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৭ ০২:১৬
Share:

হয়রানি: সোমবার চুঁচুড়া জেলা আদালত চত্ত্বর। ছবি: তাপস ঘোষ।

আদালত ভবনের উন্নয়ন-সহ ১১ দফা দাবিতে চুঁচুড়া জেলা আদালতে কর্মবিরতি পালন করলেন চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবীরা। আর তার জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনেই ভোগান্তিতে পড়লেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া জেলা আদালত ভবনটি হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ভবনেই রয়েছে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কার্যালয়। সম্প্রতি চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবন লাগোয়া এলাকায় জেলা প্রশাসনের নতুন প্রশাসনিক ভবন তৈরি হয়েছে। আইনজীবীদের অভিযোগ, নতুন দফতর তৈরি হওয়া সত্ত্বেও অধিকাংশ দফতর এই আদালত ভবন থেকে স্থানান্তরিত করা হয়নি। ফলে আদালত চত্বর কাজের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

ইংরেজ আমলের তৈরি এই আদালত ভবন সংস্কারের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে আন্দোলনে নামেন আইনজীবীরা। আদালত ভবনের সামনে সামিয়ানা খাটিয়ে বিক্ষোভ সভা করা হয়। আইনজীবীদের অভিযোগ, এই আদালত ভবন সংস্কার না করার জন্য রাজ্য সরকারের বরাদ্দ টাকা ফেরত চলে গিয়েছে। ফলে দীর্ঘদিনের পুরনো এই ভবন ক্রমশই বেহাল হয়ে পড়ছে। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই ১১ দফা দাবি জানান তাঁরা।

Advertisement

দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, আইনি পরিষেবা দফতর জেলায় করতে হবে, আদালত ভবন অবিলম্বে উন্নয়ন করে কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, অনুমোদিত নতুন আদালত ভবনের কাজ শুরু করতে হবে, জেলা আদালতে ঘর অবিলম্বে জেলা জজের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

সোমবার সকাল থেকেই কাজ বন্ধ করে শুরু হয় আন্দোলন। আইনজীবী শুভাশিস চন্দ বলেন, ‘‘পুরনো এই আদালত ভবনটি ক্রমশ জরাজীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। বিচারপ্রার্থীদের অসুবিধা হওয়া সত্ত্বেও বাধ্য হয়েই কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনের পথে নামতে হয়েছে।’’

এ দিন কর্মবিরতির জেরে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। ধনেখালির বাসিন্দা অসীমা মজুমদার বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদের শুনানির জন্য এ দিন আদালতে এসে দেখি, কোনও কাজ হচ্ছে না। এই গরমে এমন হয়রান করার কোনও মানে হয় না। এটা চূড়ান্ত অমানবিক বিষয়।’’

বৃদ্ধ প্রাণনাথ দাসের কথায়, ‘‘বাড়ির একটা সমস্যার জন্য এই রোদ মাথায় করে আদালতে ছুটে আসতে হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই তো হল না। আবার ওই কাজের জন্য আসতে হবে।’’

জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল বলেন, ‘‘নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় কিছু দফতর পুরনো জায়গাতেই রয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে যত শীঘ্র সম্ভব দফতরগুলি স্থানান্তরিত করার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন