এক বিজেপি নেতাকে দোকান থেকে বের করে মারধর, দোকান লুঠপাট এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আবার এই ঘটনার পাল্টা হিসেবে এলাকার তৃণমূল কর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে আরামবাগের কাবলের ঘটনা।
ঘটনায় গুরুতর আহত বিজেপি নেতা তথা দলের ৩৮ নম্বর মণ্ডল সভাপতি চিরঞ্জিত বারিককে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের দুই কর্মী শেখ ইমাম এবং শেখ আলম খানকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বুধবার তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চিরঞ্জিত বারিক এবং ওই দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে চিরঞ্জিতের দোকানে তল্লাশি চালিয়ে চারটে বোমা মিলেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূলের মূল অভিযুক্ত কুতুবুদ্দিন পলাতক। তাঁকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আরামবাগের কাবলে এলাকায় বিজেপি নেতা চিরঞ্জিত বারিকের মোবাইল সারাইয়ের দোকান রয়েছে। চিরঞ্জিতের অভিযোগ, “রাত পৌনে আটটা নাগাদ স্থানীয় কৃষ্ণপুর গ্রামের তৃণমূল কর্মী শেখ কুতুবুদ্দিন, শেখ ইমরান হোসেন এবং শেখ আলমগীর খান মোবাইল ফোন সারানোর নাম করে দোকানে ঢুকে আমাকে মারধর, দোকান ভাঙচুর এবং লুঠপাট করে। দোকান বাঁচানোর চেষ্টা করেও পার পাইনি।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের কুতুবুদ্দিনের অভিযোগ, “চিরঞ্জিত কয়েকদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে নানা কুমন্তব্য করে ফেসবুকে পোস্ট করছিল। তা নিষেধ করতে গেলে দোকানের দরজার খিল দিয়ে আমাদের মারতে শুরু করে। তারই প্রতিবাদ করায় বিজেপির লোকেরা আমাদের মারধর করে।’’
সমস্ত বিষয়টি নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের শেষ অবস্থা হয়ে এসেছে। সে জন্য তারা আমাদের দলীয় কর্মীদের উপর আক্রমণ করছে। তৃণমূলকে আমাদের কিছু বলার নেই।’’ আরামবাগ তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, “সংগঠনহীন একটি দলকে মারতে যাবে কেন আমাদের ছেলেরা! ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে কিছু ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’’