বিসর্জন ঘিরে ধুন্ধুমার জগাছায়

স্থানীয় পল্লিমঙ্গল এলাকার প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। অভিযোগ, তখন মাতৃমন্দির এলাকার এক দল মত্ত যুবক মোটরবাইক নিয়ে শোভাযাত্রায় উপস্থিত হয়ে মহিলাদের উত্যক্ত করতে শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:৫৩
Share:

ফাইল চিত্র।

বিসর্জনের শোভাযাত্রায় কয়েক জন যুবকের বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন পাশের পাড়ার মহিলারা। এই ‘অপরাধে’ সোমবার গভীর রাতে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার ধাড়সা। অভিযোগ, সংঘর্ষের সময়ে দু’পক্ষ বোমা, রিভলভার, লাঠি, রড নিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করে। একটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় এক বৃদ্ধকেও। তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি। আহত অন্য দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্ধ্যায়। স্থানীয় পল্লিমঙ্গল এলাকার প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল। অভিযোগ, তখন মাতৃমন্দির এলাকার এক দল মত্ত যুবক মোটরবাইক নিয়ে শোভাযাত্রায় উপস্থিত হয়ে মহিলাদের উত্যক্ত করতে শুরু করে। এর প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষে বচসা বাঁধে। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। পুলিশি হস্তক্ষেপে তখনকার মতো ঝামেলা মিটে গেলেও অভিযোগ, সোমবার রাতে দফায় দফায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

মাতৃমন্দির ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ, প্রথমে পল্লিমঙ্গল ক্লাবের সদস্যেরা বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তাঁদের পাড়ায়। একটি বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও মারধর করা হয়। আহত দু’জনকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে পল্লিমঙ্গল ক্লাবের সদস্যদের বাড়িতে পাল্টা ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ ওঠে মাতৃমন্দির ক্লাবের সদস্যদের বিরুদ্ধে। আহত হন সুধীর সাহা নামে এক ৮২ বছরের বৃদ্ধ। তিনি হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

মঙ্গলবার দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে জগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement