একটি দোকানঘর ঘিরে শরিকি বিবাদ। এক তরফ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছে, কাউন্সিলর দোকান দখল করে স্কুল তৈরি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতেও বলেছে। যদিও অন্য পরিবারটির দাবি, দোকানঘর স্কুলের জন্য ভাড়া দিয়েছেন তাঁরাই।
জিটি রোডে ওই দোকানঘরের মালিকানা নিয়ে বালির বাদামতলার বাসিন্দা মানসুরা দেওয়ানের সঙ্গে তাঁর আত্মীয় গোপাল লস্করের বিবাদ আদালতে গড়িয়েছে। মানসুরার অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দা তথা ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বলরাম ভট্টাচার্য দোকানঘরে প্রথমে পার্টি অফিস, পরে অবৈতনিক প্রাথমিক মাদ্রাসা চালু করেছেন। বিষয়টি বালি থানায় জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন মানসুরা। তাঁকে পাঠানো হয় সিপি-র দফতরে। সিপি তাঁকে থানায় দেখা করতে বলেছেন।
বলরামবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আমি ওই মহিলাকে চিনি না। কারও সম্পত্তি দখল করব কেন? তা নিয়ে মামলা চলছে শুনেছি। এটা আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘ওখানে স্কুল চালু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু তা আমি কেন চালু করব? ওটা আমার বা পুরসভার সম্পত্তি নয়।’’ গোপাল লস্করের ছেলে নুরউদ্দিন বলেন, ‘‘মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। তাই আমরাই দোকানঘর পার্টি অফিসের জন্য ব্যবহার করতে দিই। পরে ভাড়া দিয়েছি। সেখানেই স্কুল চলছে। আদালত যা বলবে, মেনে নেব।’’