Containment Zone

সংক্রমিত এলাকা মিলিয়ে হাওড়ায় বাড়বে কন্টেনমেন্ট জ়োন

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের ১৯টি এলাকাকে আইসোলেশন জ়োন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২০ ০৩:০৩
Share:

মর্জিমাফিক: নামেই কন্টেনমেন্ট জ়োন, কিন্তু বাজারে ভিড় দেখে তা বোঝার উপায় নেই! শুক্রবার, হাওড়ার মল্লিকফটক এলাকায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

ঘোষিত কন্টেনমেন্ট জ়োনে রয়েছে পুলিশি তৎপরতা। সেখানে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও ঠিক তার বাইরের এলাকায় দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। দূরত্ব-বিধি শিকেয় তুলে রাস্তায়, দোকানে-বাজারে উপচে পড়ছে ভিড়। হাওড়ায় ১৭টি কন্টেনমেন্ট জ়োনে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফের লকডাউন চালু হলেও বদলাল না বেপরোয়া মনোভাবের পুরনো চিত্র। শুক্রবার সকালে ব্যাঙ্কের পাসবই বা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে কন্টেনমেন্ট জ়োন থেকে বেরিয়ে বাজার করার প্রবণতাও চোখে পড়েছে পুলিশের। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বার তাই বেশ কিছু আইসোলেশন জ়োনকে এক করে হাওড়ায় কন্টেনমেন্ট জ়োন বাড়ানোর চিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন।

Advertisement

হাওড়ার কন্টেনমেন্ট জ়োনগুলির মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল শহরের মূল প্রাণকেন্দ্র হাওড়া ময়দান চত্বর ও বাণিজ্যিক এলাকা বলে পরিচিত মল্লিকফটক। এর সঙ্গে রয়েছে হাওড়া আদালতের চারপাশ ঘিরে থাকা সমস্ত প্রশাসনিক অফিস। সেগুলি সবটাই পড়ে হাওড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ওই ওয়ার্ডে দ্রুত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে হাওড়া পুরসভা। জেলাশাসকের বাংলোর আশপাশে প্রতিদিন তিন-চার জন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। তার জেরে গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সামনের ঋষি বঙ্কিম সরণি। হাওড়া জেলা হাসপাতাল চত্বরেও নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন কয়েক জন কর্মী। কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জেলা পরিষদের দফতরও।

এ দিন ওই জ়োনে রাস্তায় বিশেষ লোকজন দেখা না-গেলেও জি টি রোডের পাশের রাস্তাগুলিতে ছিল অন্য চিত্র। এক দিকে যখন পি কে ব্যানার্জি রোড, রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেন, চিন্তামণি দে রোড গার্ডরেল দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে, তখন ঠিক তার উল্টো দিকে নেতাজি সুভাষ রোড, পঞ্চাননতলা রোড, টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোডে যানবাহন ও মানুষের গিজগিজে ভিড়। অভিযোগ, ওই সব এলাকায় সংক্রমণ বাড়লেও দূরত্ব-বিধির পরোয়া না-করেই চলছে বাজার, দোকান। তিন জনের বেশি যাত্রীকে না-তোলার নির্দেশ থাকলেও চার-পাঁচ জনকে নিয়ে চলছে টোটো, অটো। এ দিন টিকিয়াপাড়ায় মাস্ক না-পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কন্টেনমেন্ট জ়োনের বাইরে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের ১৯টি এলাকাকে আইসোলেশন জ়োন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে রোজই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া পুরসভার ৩, ৬, ১১, ১২, ১৩, ১৭, ২৩, ২৭, ৩৩, ৪২, ৪৫, ৪৭, ৪৮, ৫০ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ড।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ওই ১৫টি ওয়ার্ডের ১৯টি জায়গায় গত তিন দিনে কত জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা দেখে এলাকা মিলিয়ে মিলিয়ে আরও কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হবে। তাই কন্টেনমেন্ট জ়োন আরও বাড়বে। এ ব্যাপারে আমরা খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।’’ এ দিকে হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ১৭টি কন্টেনমেন্ট এলাকার রাস্তা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। এই কাজ প্রতিদিনই চলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন