Coronavirus

মায়ের দেহ পড়ে মর্গে, সৎকারে হন্যে ছেলে

শনিবার বিষয়টি জেলাশাসকের গোচরে আসার পরে ওই দেহ দ্রুত সৎকারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘মহিলার ছেলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। শীঘ্রই দেহটি সৎকার করা হবে।’’ আজ, রবিবার রাতে দেহটি দাহ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

তাপস ঘোষ 

ধনেখালি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০৩:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পরে ধরা পড়েছে করোনা সংক্রমণ। দেহ পড়ে রয়েছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের মর্গে। সৎকারের জন্য এক সপ্তাহ ধরে প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরছেন ছেলে!

Advertisement

এই ঘটনায় কোভিড আক্রান্তের দেহ সৎকার নিয়ে শিথিলতার অভিযোগ উঠছে হুগলি প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধে। মৃতের বাড়ি ধনেখালিতে। তাঁর ছেলে বলেন, ‘‘অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে বাবা এবং দাদা মারা গিয়েছেন। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মাকে হারিয়ে আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তার উপরে মায়ের দেহ মর্গে ফেলে রেখেছে। প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় মায়ের দেহ দাহ করলে আপত্তি নেই। কিন্তু এ ভাবে ফেলে রাখা হবে কেন?’’

শনিবার বিষয়টি জেলাশাসকের গোচরে আসার পরে ওই দেহ দ্রুত সৎকারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘মহিলার ছেলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। শীঘ্রই দেহটি সৎকার করা হবে।’’ আজ, রবিবার রাতে দেহটি দাহ করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, লিভারের অসুখে ভুগে গত ২১ জুন ওই যুবকের বাবা মারা যান। তার পরে তাঁর দাদার করোনা ধরা পড়ে। জুলাই মাসের গোড়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরে তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর হাঁপানির সমস্যা ছিল। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানো হয়। সেখান থেকে ফিরে গত ২৪ জুলাই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাঁকে ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পথে পঁচাত্তর বছরের ওই মহিলার মৃত্যু হয়।

এর পরে তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। দেহ মর্গে পাঠানো হয়। গত রবিবার করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এর পর থেকেই দেহ সৎকারের আর্জি নিয়ে থানা থেকে ব্লক অফিস— সর্বত্র দরবার করেন ছেলে। শেষ পর্যন্ত জেলাশাসকের আশ্বাসে তিনি আশ্বস্ত হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন