Coronavirus in Howrah-Hooghly

সংক্রমণ বাড়ছে চন্দননগরে, টিন দিয়ে ঘেরা হচ্ছে উর্দিবাজার

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আরও বেশি নিরাপত্তায় ওই দুই ওয়ার্ডকে মুড়ে ফেলা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চন্দননগর শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ০৫:০৫
Share:

উর্দিবাজার এলাকা টিনের বেড়াজাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। — নিজস্ব চিত্র

করোনা সংক্রমণে হুগলি জেলা প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে চন্দননগরের উর্দিবাজার। ভাইরাস মোকাবিলায় এ বার টিন দিয়ে ঘেরা হচ্ছে ওই এলাকা।

Advertisement

চন্দননগর পুরসভার ১১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে উর্দিবাজার এলাকা। সম্প্রতি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিন জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে লালারস পরীক্ষায় তাঁদের সংস্পর্শে আসা আরও তিন জনের করোনা পজ়িটিভ হয়। শুক্রবার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই ওয়ার্ডের আরও ১৬ জনের শরীরে ওই ভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়েছে।

এই খবর পৌঁছতেই উর্দিবাজার এলাকায় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে আরও কড়া ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে তৎপরতা শুরু হয়। বিকেলে জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও ওই এলাকা পরিদর্শনে যান। পরে মহকুমাশাসকের দফতরে জরুরি বৈঠক করেন। মহকুমাশাসক মৌমিতা সাহা-সহ অন্য আধিকারিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই দুই ওয়ার্ড এমনিতেই ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ (গণ্ডিবদ্ধ এলাকা)।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আরও বেশি নিরাপত্তায় ওই দুই ওয়ার্ডকে মুড়ে ফেলা হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন বাড়ি থেকে একেবারেই বের না হন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। আগেই বাঁশের ব্যারিকেড করে এখানকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। এ বার ঠিক হয়েছে, রাস্তার প্রবেশপথ টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। বিকেলেই সেই কাজ শুরু হয়ে যায়। আগামী সাত দিন লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার-সহ যাবতীয় দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ভ্যানে করে এলাকায় আনাজ-মাছ পৌঁছনো হবে।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘চারটি পরিবারের বেশ কিছু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যাতে এই এলাকা থেকে শহরের অন্যত্র ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কড়া পুলিশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিধি ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চলবে।’’

জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘‘উর্দিবাজারে বেশ কিছু মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সংক্রমণ যাতে আর না ছড়ায়, তার জন্য প্রশাসনিক ভাবে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মানুষের কাছে অনুরোধ, এই সময়ে অবিবেচকের মতো অপ্রয়োজনে তাঁরা যেন বাড়ি থেকে না বের হন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন