ভিড়: গাদাগাদি করে পড়াশোনা জেলার একটি গ্রন্থাগারে। নিজস্ব চিত্র
ভিড় এড়াতে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু খোলা রয়েছে সরকারি গ্রন্থাগারগুলি। সেখানে ঘেঁষাঘেষি করে বসেই চলছে পড়া। নেই মাস্ক বা স্যানিটাইজ়ারের বালাই। এমনই ছবি হাওড়া জেলার বিভিন্ন সরকারি গ্রন্থাগারে।
গ্রন্থাগার খোলা থাকার বিষয়টি শুনে অবাক জেলাশাসক মুক্তা আর্য। তিনি বলেন, ‘‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ হাওড়ার সরকারি গ্রন্থাগারগুলি খোলা কেন বুঝতে পারছি না। জেলা গ্রন্থাগারিকের সঙ্গে কথা বলব।’’
রাজ্য গ্রন্থাগার বিভাগের এক পদস্থ কর্তা জানান, এই সমস্যা শুধু হাওড়া জেলার নয়। রাজ্যের সব সরকারি গ্রন্থাগার বন্ধ রাখার ব্যাপারে দফতর থেকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এমনকি রাজ্য সরকার কর্মীদের বিকেল ৪টের সময়ে ছুটি দেওয়ার যে নির্দেশ বেরিয়েছে তাও গ্রন্থাগারগুলিতে কার্যকর করা হয়নি।
হাওড়া জেলায় মোট ১০২টি সরকারি গ্রন্থাগার রয়েছে। আচমকাই সেখানে পড়ুয়াদের ভিড় বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি, গ্রন্থাগারের একাংশ কর্মীর। এ বিষয়ে গ্রন্থাগারিক ও গ্রন্থাগারকর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, স্কুল কলেজ বন্ধ। ফলে সেখানে যেতে না পেরে পড়ার জন্য অনেকেই গ্রন্থাগারকেই বেছে নিয়েছেন।
এ দিকে গ্রন্থাগারে ভিড় হলেও করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সুরক্ষার যে সব নিদান কেন্দ্র ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে দেওয়া হয়েছে সেগুলিও কোথাও মানতে দেখা যায়নি। বইয়ের আদানপ্রদান চলছে অবাধে। অথচ একটি বইয়ে একাধিক পাঠকের স্পর্শে তা থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। পাঠকদের মধ্যে এক মিটারের দূরত্বও নেই। নেই স্যানিটাইজ়ার বা মাস্কের বালাই।
গ্রন্থাগারের কর্মীদের দাবি, স্যানিটজা়র ও মাস্ক বিলি হোক। অথবা শিক্ষা কেন্দ্রের মতোই ছুটি ঘোষণা হোক গ্রন্থাগারেও। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক বিদ্যুৎ দাস বলেন, ‘‘মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি। সেগুলি এলেই পাঠক ও গ্রন্থাগার কর্মীদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে।’’