সৎকারের জন্য দেহ নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যেরা। ব্যান্ডেলে।
করোনা রোগীদের নিয়ে প্রাথমিক পর্বের সেই ছুৎমার্গ অনেকটা কাটলেও এখনও কিছু এলাকায় ভয়ভীতি রয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার যে ভয় দেখা গেল ব্যান্ডেলের পঞ্জাবিপাড়ায়। দিনভর করোনায় মৃত এক বৃদ্ধার দেহ পড়ে রইল বাড়িতে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন ভোরে ওই এলাকার ৮৫ বছরের ওই বৃদ্ধা মারা যান। তাঁর ছেলে এবং এক নাতিও করোনায় আক্রান্ত। ফলে, মৃতদেহ দাহ করতে নিয়ে যাওয়ার অবস্থায় তাঁরা ছিলেন না। বিষয়টি তাঁদের প্রতিবেশীদের অজানা নয়। কিন্তু সংক্রমণের ভয়ে তাঁরা কেউই এগিয়ে আসেননি। এমনকি, প্রশাসনের কোনও মহলেও খবর দেননি বলে অভিযোগ। সারাদিন ওই বৃদ্ধার দেহটি বাড়িতেই পড়ে থাকে।
বৃদ্ধার এক আত্মীয় পঞ্চায়েত অফিসে দেহটি সৎকারের আর্জি জানান। পঞ্চায়েত থেকে বিষয়টি ব্লক অফিসকে জানাতে বলা হয়। এরপর ওই আত্মীয় ব্লক অফিসে যোগাযোগ করেন। বিকেল গড়িয়ে যাওয়ায় কিছুটা উদ্বিগ্নও হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাই চুঁচুড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারও দ্বারস্থ হন। এরপরই কাজ হয়।
ওই স্বেচ্ছেসেবী সংস্থার সদস্য ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, ‘‘ঘটনাটি নজরে আসতেই আমাদের সদস্যেরা শববাহী গাড়ি নিয়ে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে যান। দেহটি নিয়ে দাহের ব্যবস্থা করেন। ঝুঁকি সকলের ক্ষেত্রেই আছে। কিন্তু এই কাজ তো আমাদের করতেই হবে। মানুষ তো। সারাদিন ওই ভাবে পড়ে থাকায় দেহটা পচতে শুরু করত।
এটা তো হতে দেওয়া যায় না। আর উচিতও নয়।’’ চুঁচুড়ার ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যেরা এ ভাবে এগিয়ে আসায় উচ্ছ্বসিত বৃদ্ধার পরিবার।