Tourists

বারাণসী থেকে ঘরে সিঙ্গুরের ১৭ পর্যটক

সিঙ্গুরের বড়া এবং জলাঘাটা এলাকা থেকে ৯ জন পুরুষ এবং ৮ জন মহিলা মার্চ মাসের ১৩ তারিখে ট্রেনে বারাণসী যান।

Advertisement

দীপঙ্কর দে

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২০ ০৫:০৩
Share:

বারাণসীতে আটকে থাকা ১৭ জন পর্যটক বাসে করে সিঙ্গুরে ফিরলেন। — নিজস্ব চিত্র

বেড়াতে গিয়ে মাসখানেক ধরে তাঁরা আটকে ছিলেন বারাণসীতে। অবশেষে বাসে করে শুক্রবার বাড়ি ফিরলেন সিঙ্গুরের ১৭ জন পর্যটক। বাস ভাড়ার ৭০ হাজার টাকা অবশ্য তাঁদের নিজেদেরই বহন করতে হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে ওই পর্যটকদের আপাতত ১৪ দিন গৃহ নিভৃতবাসে থাকার নিদান দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

সিঙ্গুরের বড়া এবং জলাঘাটা এলাকা থেকে ৯ জন পুরুষ এবং ৮ জন মহিলা মার্চ মাসের ১৩ তারিখে ট্রেনে বারাণসী যান। কয়েকদিন বেড়ানোর পরেই লকডাউনে মার্চ মাসের ২২ তারিখ থেকে তাঁরা হোটেলবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। ফুরিয়ে আসে টাকা। বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে তাঁরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। এ দিকে, তাঁদের সিঙ্গুরে থাকা পরিজনেরা রাজ্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাতে ফেরার অনুমতি মেলে।

ওই পর্যটকদের মধ্যে অশোক দাস বলেন, ‘‘আমাদের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে খাবারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে যেতে হয়। আবেদনে সাড়া দিয়ে আমাদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়। তবে, সব সময় তো পেতাম না। তখন নিজেরাই কোনওমতে চালিয়ে নিতাম। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় বাস আসতেই আমরা বেরিয়ে পড়ি।’’ রাজ্য প্রশাসনের কাছে তাঁর একটাই আবেদন, ‘‘যদি প্রশাসন বাস ভাড়াটা দিয়ে দেয় তা হলে বিশেষ উপকার হয়। ওখানে অনেক খরচ হয়ে গিয়েছে।’’ ওই দলের যূথিকা দাসের অবশেষে আতঙ্ক কেটেছে। বাড়ি ফিরে তিনি বলেন, ‘‘ওখানে খালি মনে হত,

Advertisement

সত্যি কোনও দিন আর বাড়ি ফিরতে পারব তো? আজকের দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম।’’

এ রাজ্যে বাসটি ঢোকার আগে বাংলা-বিহার সীমানায় সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। এ দিন সিঙ্গুরে নামার পরেও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকলের আরও এক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। তারপরই তাঁদের বাড়ি ফেরার অনুমতি দেয় প্রশাসন। বাস ভাড়া দিয়ে দেওযার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন।

এতদিন ধরে বাবা-মা বারাণসীতে আটকে পড়ায় রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন অশোকের ছেলে অয়ন। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমি এই ক’দিনে অন্তত ১৫টি চিঠি লিখেছি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে। আমি কৃতজ্ঞ, সেই আবেদনে শেষ পর্যন্ত প্রশাসন সাড়া দিয়েছে। আমরা খুবই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।’’

আপাতত সকলে স্বস্তিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন