লকডাউন না মেনে রাস্তায়। উলুবেড়িয়া ওটি রোডে। ছবি: সুব্রত জানা।
একদিকে মিষ্টির দোকান খুলে গিয়েছে। তার উপর বুধবার থেকে রেশন দোকানও খুলে গেল। সব মিলিয়ে মানুষের মধ্যে ঘরে থাকার যেটুকু অভ্যাস তৈরি হয়েছিল, তার অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেল বলে অভিযোগ।
বুধবার সকাল থেকেই উত্তরপাড়া বা জেলার বিভিন্ন অংশে দেখা গিয়েছে, মানুষ ফের রাস্তামুখো। কেউ বাজার বা মুদির দোকানে। আবার কেউ স্রেফ ঘুরতে বেরিয়েছেন।
এতদিন পর মিষ্টির দোকান খোলায় খুশি উত্তরপাড়ার কল্লোল দাস। তিনি বলেন, "দই ছাড়া ভাত খেতে পারি না। মুখ্যমন্ত্রী মিষ্টির দোকান খোলার নির্দেশ একেবারে ঠিক। গো-পালকদেরও সমস্যা মিটবে।" জেলার একাধিক মিষ্টির দোকানে ভিড় ছিল নজরে পড়ার মতো। খুশি মিষ্টির দোকানের মালিকরাও।
উত্তরপাড়ার চিকিৎসক ঐশ্বর্য্যদীপ ঘোষ বলেন,‘‘এখন মানুষের ঘরে থাকাই কিন্তু একমাত্র পথ। এর কোনও বিকল্প নেই। এটা মানুষকে বুঝতে হবে। না হলে বিপদ কিন্তু ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আমাদের।’’
লকডাউন চললেও রাস্তায় ভিড়ের কমতি নেই গ্রামীণ হাওড়াতেও। বাগনান, উলুবেড়িয়া, আমতা ডোমজুড় সর্বত্র এক ছবি। চার ঘণ্টা মিষ্টির দোকান খোলার নিয়মও মানা হয়নি অনেক জায়গায়। পুলিশের নজরদারি ছিল না বললেই চলে। উলুবেড়িয়ার নিমদিঘির মাছ বাজারে ছিল থিকথিকে ভিড়। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখেননি কোনও ক্রেতা। বাগনানে আবার স্টেশনারি এবং দু’একটি হার্ডওয়্যার দোকান খোলা হয়। প্রবীর ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, " খদ্দেরদের চাপেই আমরা দোকান খুলতে বাধ্য হয়েছি। তবে সকলকেই দূরে দূরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। সমস্যা হয়নি।''
মুরগির দোকানেও ভিড় জমছে ভালই। তুলনামূলক ভাবে কম ভিড় ছিল খাসির মাংসের দোকানে। এক ক্রেতার কথায়, " এখন কতদিন লকডাউন চলবে কে জানে। এর মধ্যে খাসির মাংসের বিলাসিতা করতে পারব না।"
বিকেলে খেলার মাঠও কিছুটা সরগরম থাকছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে অবশ্য সব এলাকা নিঝুম। বাড়িতেই থাকছেন সকলে। বাড়ছে পুলিশের টহলদারি।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।