Coronavirus

উর্দিবাজারে এ বার প্লাইউডের বেড়া 

প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি উর্দিবাজারে ছ’জনের করোনা পজ়িটিভ হয়। তখনই পুরসভার ১১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (উর্দিবাজার ওই ওয়ার্ডেই) বিভিন্ন রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয় এলাকাবাসীর যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে।

Advertisement

তাপস ঘোষ

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০১:৩৪
Share:

সাবধানতা: চলছে প্লাইউড দিয়ে এলাকা ঘেরা। —নিজস্ব চিত্র

বাঁশের ব্যারিকেড কাজে আসেনি। কাজ হয়নি টিনেও। চন্দননগরের উর্দিবাজারের এক শ্রেণির ‘অবিবেচক’ বাসিন্দাদের গণ্ডিবদ্ধ রাখতে এ বার প্লাইউড দিয়ে রাস্তা ঘিরে দিল প্রশাসন।

Advertisement

জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘ওই এলাকা জুড়ে কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যাতায়াতের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। মানুষের ভালর জন্যই তাঁদের গৃহবন্দি রাখতে এই ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যকর্মীরা সংক্রমিত পরিবারের লোকজনের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখছেন।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি উর্দিবাজারে ছ’জনের করোনা পজ়িটিভ হয়। তখনই পুরসভার ১১ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের (উর্দিবাজার ওই ওয়ার্ডেই) বিভিন্ন রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা হয় এলাকাবাসীর যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে। যদিও মামুলি কারণেও ব্যারিকেড পেরিয়েই অনেকে যাতায়াত করছিলেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যেই ওই এলাকার আরও ১৬ জনের ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে শুক্রবার জানা যায়।

Advertisement

সংক্রমণ আর যাতে না-ছড়ায়, সে জন্য সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক করেন জেলাশাসক। এর পরেই উর্দিবাজারের বিভিন্ন রাস্তায় লাগানো বাঁশের ব্যারিকেডের উপরে টিন আটকে দেওয়া হয়। যাতে কেউ বেরোতে না-পারেন। অভিযোগ, প্রশাসন এবং চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা ফিরে যেতেই এলাকাবাসীর একাংশ টিন খুলে ফেলতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি জানান, এলাকার বাইরে তাঁদের বেরোতে দিতে হবে।

নাগরিকদের ওই কাজে প্রশাসন অবশ্য চুপ করে বসে থাকেনি। রাতে ডিসি (চন্দননগর) বিশপ সরকারের নেতৃত্বে বিভিন্ন থানার আইসি-সহ পুলিশ বাহিনী ওই এলাকায় যায়। বাঁশ, টিনের উপরে পেরেক দিয়ে মোটা প্লাইউড আটকে দেওয়া হয়।

প্রশাসনের আধিকারিকরা জানান, রানিঘাটের দিক থেকে উর্দিবাজারে ঢোকার একটি রাস্তা পুলিশের গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে। সেখানে পুলিশকর্মীরা পাহারায় থাকছেন। স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী-সহ জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকজন এবং পুলিশ-প্রশাসন ও পুরসভার আধিকারিকরা ওই রাস্তা দিয়ে এলাকায় যাতায়াত করবেন। ভ্যানে করে আনাজ এবং মাছ এখান দিয়েই উর্দিবাজারে পাঠানো হবে। ফলে, বাড়িতে বসেই প্রয়োজনীয় জিনিস মিলবে। অতি জরুরি প্রয়োজন বাদে সাধারণ মানুষকে উর্দিবাজারে ঢুকতে বা বেরোতে দেওয়া হবে না।

প্রশাসন সূত্রের খবর, কিছু দিন আগেই উর্দিবাজার সংলগ্ন লক্ষীগঞ্জ বাজার হাসপাতাল মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। শুক্রবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠের বাজারও সাত দিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উর্দিবাজারেও কোনও ধরনের ব্যবসা করা যাবে না। পাড়ায় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়। এ দিন ওই এলাকা স্যানিটাইজ় করা হয়। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন