লকডাউনের সময় চন্দননগরের যুগিপুকুর মোড়ের একটি মিষ্টির দোকানের ভিয়েন-ঘরে হানা দিয়ে এমন কাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে চন্দননগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে।ফাইল চিত্র
চন্দননগর থানার কয়েকজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে শহরের একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকে মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিলেন চন্দননগর কমিশনারেটের কর্তারা। ঘটনার রাতে ‘ডিউটি’তে থাকা চন্দননগর থানার এক অফিসার, দুই কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর জানান, থানার যে অফিসার ওই দলটির দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের আপাতত বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুর থেকে দুই কনস্টেবল এই থানায় যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের ব্যারাকপুরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। চন্দননগরের যুগিপুকুরে জনৈক খোকন সাহার মিষ্টির দোকান রয়েছে। গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় তাঁর দোকান লাগোয়া ভিয়েন-ঘরে মিষ্টি তৈরি হচ্ছিল পরের দিন বিক্রির জন্য। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, রাত পৌনে ৯টা নাগাদ চন্দননগর থানার কয়েক জন পুলিশ সেখানে গিয়ে মিষ্টি, ঘি, ঠান্ডা পানীয়ের বোতল নিয়ে নেন। গোটা ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। দোকানের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। লকডাউনের নিয়ম ভেঙে দোকান খোলা ছিল বলে তাঁকে দিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়, এ অভিযোগও তুলেছেন খোকন। মঙ্গলবার ডিসি (চন্দননগর) বিশপ সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান তিনি। সিসিটিভি-র ফুটেজও জমা দেন। ঘটনার কথা বুধবার হুগলি জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতিকেও লিখিত ভাবে জানান খোকন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)