প্রতিবাদে দুই জেলায় পথে বাম-কংগ্রেসও

সিএএ এবং এনআরসি-র সমর্থনে সিঙ্গুরে মিছিল এবং সভা করেন স্থানীয় সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১১
Share:

জোট বেঁধে: বাগনানে মিছিল বামেদের। নিজস্ব চিত্র

নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রবিবার হাওড়া ও হুগলি জেলায় পথে নামল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ওই আইনের বিরুদ্ধে আগামী ৮ জানুয়ারি ভারত জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামপন্থী কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। সেই নিয়ে হাওড়ার বাগনানে বামফ্রন্টের ডাকা সভায় এসে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতার অভিযোগ তুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, ‘‘ধর্মঘট ভাঙতে আসবেন না। আমাদের ধর্মঘট মোদীর বিরুদ্ধে। আপনি ঢাল হয়ে দাঁড়াবেন না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কথা দিচ্ছি, ধর্মঘট শান্তিপূর্ণ থাকবে। কোনও ভাঙচুর হবে না, গাড়ি জ্বালানো হবে না। তারপরেও যদি আপনি এই ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করেন, তাতে অশান্তি হলে দায় পুরোপুরি আপনার।’’ এ দিন নলপুরেও জেলা বামফ্রন্টের তরফে পদযাত্রা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিমান বসু।

Advertisement

এ দিন হুগলির চন্দননগরে সিপিএমের তরফে মিছিল বের করা হয় সিএএ এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে। স্টেশন রোড, বড়বাজার-সহ বিভিন্ন রাস্তা ঘোরে ওই মিছিল। বিকেলে শ্রীরামপুরে মিছিল করে কংগ্রেস। মিছিল শুরু হয় মাহেশের স্নানপিড়ি মাঠের সামনে থেকে। জিটি রোড ধরে বটতলায় গিয়ে মিছিল শেষ হয়। সেখানে সভা হয়। ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, সুখবিলাস বর্মা, রাজ্য যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান প্রমুখ। ওই আইন বাতিলের দাবিতে ডানকুনি এবং তারকেশ্বরে মিছিল করে তৃণমূল।

সিএএ এবং এনআরসি-র সমর্থনে সিঙ্গুরে মিছিল এবং সভা করেন স্থানীয় সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট বলেন, ‘‘রাজ্যের সব ভুতুড়ে ভোটারকে বের করে দিয়ে বিধানসভা নির্বাচন হবে।’’ তাঁর তোপ, ‘‘পয়সা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সরকারি সম্পত্তি ভাঙার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল সরকার।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement