প্রতীকী ছবি।
ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। ঘটনার পরই শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চার্জের অভিযোগও উঠেছে। শনিবার সকালে গোঘাটের বালিবেলায় আরামবাগ-কামারপুকুর রাজ্য সড়কের ঘটনা। পুলিশ অবশ্য লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমল ধারা (২৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এ দিন। পেশায় রাজমিস্ত্রি বিমলের বাড়ি আরামবাগের কালীপুরে। সকালে নিজের সাইকেলে বিমল কাজে যাচ্ছিলেন। অন্য একটি সাইকেলে ছিলেন তাঁর আরও দুই সঙ্গী। বালিবেলায় কুমুরশা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে একটি ডাম্পার তাঁদের ধাক্কা মারে। ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিমলের। অন্য সাইকেলের দুই আরোহী জখম হলেও তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপরই শুরু হয় অবরোধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উল্টো দিক থেকে আসা ডাম্পারের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই তাঁদের ধাক্কা দিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরই ডাম্পার ফেলে চম্পট দেন চালক। পরে চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আরামবাগ-কামারপুকুর রাজ্য সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে কোনও নজর নেই পুলিশের। ট্রাফিক ব্যবস্থাও নেই। ফলে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। সকাল সওয়া ৯টা নাগাদ নিরাপত্তার দাবিতে বালিবেলায় পথ অবরোধ শুরু করেন বাসিন্দারা। প্রায় মিনিট কুড়ি অবরোধের জেরে আটকে পড়ে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং কলকাতা, বর্ধমান, তারকেশ্বরের বহু গাড়ি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন এসডিপিও কৃশানু রায়। কিন্তু তাতেও অভিযোগ না ওঠায় পুলিশ লাঠি চালিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃতের বাড়ির সামনে রাজ্য সড়কে ফের অবরোধ শুরু হয়। সেখানে অবশ্য স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায় মিনিট দশেকের মধ্যেই।
এসডিপিও অবশ্য বলেছেন, ‘‘লাঠিচার্জ করা হয়নি। পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দিয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’