মামলা, পাল্টা মামলায় ডানকুনি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ আটকে গিয়েছিল। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগের জন্য যে-সংশোধিত প্যানেল বা প্রার্থী-তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা বৈধ।
বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের এই নির্দেশের পরে কর্মী নিয়োগে আর কোনও আইনি বাধা থাকছে না। ওই তালিকা অনুমোদনের আবেদন জানিয়ে পুরসভা-কর্তৃপক্ষ রাজ্যের ‘ডিরেক্টর অব লোকাল বডি’র কাছে সেটি পাঠিয়েও দিয়েছেন।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত বছর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৫০ জ কর্মী নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পরে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। অভিযোগ ওঠে, তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণ হয়েছে। এমন কয়েক জনের নাম ওই তালিকায় রয়েছে, যাঁদের ঘনিষ্ঠেরা আছেন পুরসভার বিভিন্ন পদে। তাই প্যানেল বাতিলের দাবি তোলেন কিছু প্রার্থী। অভিযোগ পেয়ে পুরমন্ত্রী নিয়োগ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
নিয়োগের নতুন তালিকা তৈরির দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন তালিকায় নাম না-থাকা কয়েক জন প্রার্থী। একই সঙ্গে নিয়োগ বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তালিকাভুক্ত কিছু প্রার্থীও দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের। একসঙ্গেই দু’টি মামলার শুনানির ব্যবস্থা হয় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের আদালতে।
তালিকাভুক্ত কয়েক জন প্রার্থীর আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের মক্কেলদের নিয়োগ নিয়ে পক্ষপাতের অভিযোগ ওঠেনি। তা হলে তাঁদের মক্কেলরা চাকরি পাবেন না কেন?
নিয়োগের নতুন তালিকা তৈরির দাবিতে যে-সব প্রার্থী মামলা করেন, তাঁদের আইনজীবীরা আদালতে জানান, প্যানেলে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সকলেই স্বজনপোষণের সুযোগ নেননি। পুরসভার আইনজীবী বিশ্বজিৎ হাজরা তখন আদালতে জানান, যে-সব প্রার্থীর নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নাম প্যানেল থেকে বাদ দিয়ে একটি সংশোধিত প্যানেল তৈরি করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
সব পক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি করগুপ্ত গত ১২ ডিসেম্বর জানিয়ে দেন, পুর-কর্তৃপক্ষের তৈরি সংশোধিত প্যানেল বৈধ।