গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে ১৭টি রাস্তা ঢালাই করার ক্ষেত্রে আরামবাগের তৃণমূল পরিচালিত হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েত অনিয়ম করেছে। এমনই অভিযোগ এনেছেন এলাকাবাসী। তাঁদের যুক্তি, অনিয়ম হয়েছে বলেই কাজ হয়ে যাওয়ার পরেও তথ্য সম্বলিত বোর্ড ঝোলানো হয়নি। বিষয়টি তাঁরা ব্লক প্রশাসনের নজরে এনেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঢালাই রাস্তাগুলির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ও খরচের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য না থাকাতেই সাইনবোর্ড তৈরির পরেও পঞ্চায়েত তা ঝোলায়নি। সেই সব বোর্ড স্থানীয় কাবলের বন্ধ থাকা সিপিএম দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন চত্বরে ফেলে রাখা হয়েছে। আরামবাগের বিডিও বদরুজ্জামান বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী এই প্রকল্পের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কাজের জায়গায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির যাবতীয় তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ড ঝোলানো বাধ্যতামূলক। সেই সাইনবোর্ড কেন লাগানো হয়নি, কেনইবা কাবলেতে পড়ে রইল তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, অন্য পঞ্চায়েতের মতো ২০১৫-২০১৬ অর্থ বর্ষে গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে অনেকগুলি রাস্তা কংক্রিটের করার অনুমোদন মিলেছে হরিণখোলা ২ পঞ্চায়েতেও। পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের মিঠু ঘোষ বলেন, ‘‘ফলকগুলি দেওয়া হয়েছে বলেই আমি জানতাম। কিন্তু কেন দেওয়া হয়নি খোঁজ নিতে হবে। তবে প্রকল্পগুলিতে অস্বচ্ছতার যে অভিযোগ উঠছে তা ঠিক নয়।’’ ফলক প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতে প্রকল্পটির তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা নির্মাণ সহায়ক কার্তিক মণ্ডল বলেন, ‘‘ফলক দেওয়া বাধ্যতামূলক ঠিকই। কিন্তু যাঁকে ফলক বানাতে দেওয়া হয়েছিল তিনি দিতে পারেননি বলেই কাজের জায়গায় ফলক দেওয়া যায়নি।’’ কিন্তু ফলক তো তৈরি হয়ে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা সিপিএমের কার্যালয় চত্বরে পড়ে আছে। উত্তরে নির্মাণ সহায়ক বলেন, ‘‘সেটা আমার জানা নেই। দ্রুত ফলক বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।’’
নানুরে বোমা। ভোটের মুখে ফের বোমা উদ্ধার হল নানুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভোটে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই বোমাগুলি মজুত করা হয়েছিল। দিন কয়েক আগে নানুরেরই তাকোড়া গ্রাম সংলগ্ন মাঠ থেকে চারটি ড্রাম ভর্তি প্রায় ২৫০টি বোমা উদ্ধার হয়।