হাওড়ায় বৃহন্নলা খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্তের গাড়ির চালক

বৃহন্নলা দীপা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়গ্রাম থেকে সাবির আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম পুলিশের সহায়তায় শ্যামপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার ধৃতকে উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তার তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নিদেশ দেন। পুলিশের দাবি, সাবির আলি দীপাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৩৩
Share:

ধৃত সাবিরকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র।

বৃহন্নলা দীপা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঝাড়গ্রাম থেকে সাবির আলি নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম পুলিশের সহায়তায় শ্যামপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার ধৃতকে উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তার তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নিদেশ দেন। পুলিশের দাবি, সাবির আলি দীপাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। সাড়ে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে অন্য এক বৃহন্নলা সুবর্ণার নির্দেশে সে এই কাজ করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে দীপা খুন হয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, খুনের কারণ জানতে সাবিরকে জেরা করা হবে। সুবর্ণা এখনও পলাতক। সাবিরকে জেরা করে সুপণার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর হাওড়ার শ্যামপুরের খাজনাবালা গ্রামের বৃহন্নলাদের এক গুরুমার মৃত্যু উপলক্ষে শোকসভায় যোগ দিতে এসে ওই রাতেই খুন হন দীপা। পশ্চিমবঙ্গ বৃহন্নলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি দীপার বাড়ি ডোমজুড়ের বাঁকড়ায়। রাত ৪টে নাগাদ একটি শৌচাগারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায় তাঁকে খুন করা হয়েছে। ওই রাতেই দীপার পালিত কন্যা চন্দ্রমুখী ঝাড়গ্রম থেকে আগত সুবর্ণার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে সুবর্ণা যে গাড়িতে করে এসেছিলেন সেই গাড়ির চালক ছিল সাবির। সাবির ছাড়া আরও এক যুবকও সুবর্ণার সঙ্গে শোকসভায় যোগ দিতে আসে। খুনের ঘটনার পরেই সুবর্ণা তার গাড়ির চালক সাবির ও ওই যুবককে নিয়ে পালিয়ে যায়। খাজনাবালার যে বাড়িতে শোকসভা হয়েছিল সেই বাড়ির মালিক পূজা-সহ চার বৃহন্নলাকে ওই দিনই গ্রেফতার করে পুলিশ। দীপার খুনের পরে বাঁকড়ার যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সেখানকার আলমারির লকার ভেঙে বেশ কয়েক ভরি সোনার গহনা ও কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে চন্দ্রমুখীরই বিরুদ্ধে। পুলিশের অনুমান, দীপাকে খুনের ঘটনায় চন্দ্রমুখীকেও সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত সাবির দাগি অপরাধী। তার নামে ঝাড়গ্রাম থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শ্যামপুর থানার পুলিশ সাবিরকে ধরতে ঝাড়গ্রামে যায়। ঝাড়গ্রামের এসডিপিও সাবিরকে ধরার ব্যাপারে শ্যামপুর থানাকে গাইড করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন