বাগনানে বাজি তৈরির সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু

সামনে পুজোর মরসুম। অর্ডারও অনেক। তাই দম ফেলার ফুরসত ছিল না। বাড়ির ভিতরেই চলছিল নাগাড়ে বাজি তৈরি। বুধবার সন্ধ্যায় সেই বাজি তৈরির সময়েই বিস্ফোরণ ঘটে মারা গেলেন কারখানার মালিকের স্ত্রী। গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানে খালোড়ে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে আগুন ধরে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের লোকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫৩
Share:

পুড়ে যাওয়া ঘর।—সুব্রত জানা।

সামনে পুজোর মরসুম। অর্ডারও অনেক। তাই দম ফেলার ফুরসত ছিল না। বাড়ির ভিতরেই চলছিল নাগাড়ে বাজি তৈরি। বুধবার সন্ধ্যায় সেই বাজি তৈরির সময়েই বিস্ফোরণ ঘটে মারা গেলেন কারখানার মালিকের স্ত্রী। গুরুতর জখম হয়েছেন তাঁর ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানে খালোড়ে। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে আগুন ধরে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলের লোকজন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একতলা বাড়িটির মালিক ধীরাজ জানা। বিস্ফোরণের সময়ে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবেশীরা জানান, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রবল শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। ধীরাজবাবুর বাড়ি থেকেই বিস্ফোরণের শব্দ আসে। তারপরেই বাড়ির ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন তাঁরা। জখম অবস্থায় কোনওমতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন ধীরাজবাবুর ছেলে বাপি। ভিতরে আগুনে পুড়ে মারা যান তাঁর মা লতিকা জানা (৬০)। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল এসে পৌঁছয়। আগুন নেভানোর পরে উদ্ধার হয় লতিকাদেবীর দেহ।

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রতি বছর পুজোর মরসুমে এই বাড়িতে বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি হতো। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভিতরটা বিস্ফোরণের অভিঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। গ্রিল ভেঙে উড়ে গিয়েছে। দেওয়াল এবং ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়েছে। ঘরের সিলিংয়ের পাখা বেঁকে গিয়েছে। গত বছরও পুজোর আগে বাড়িতে বাজি বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা যান একজন। ঘটনাটি ছিল সাঁকরাইলের।

Advertisement

হাওড়ার জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে বাজি থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তদন্তে যদি দেখা যায় বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হচ্ছিল তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement