মেয়েকে পুড়িয়ে আত্মঘাতী বাবা 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে পেশায় গা়িড়চালক স্বপনের সঙ্গে গ্রামেরই বাসিন্দা অপর্ণার বিয়ে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪৯
Share:

শোকার্ত: বাড়িতে ফিরে অপর্ণা। নিজস্ব চিত্র

মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে নিজের গায়েও আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হলেন বাবা। সোমবার বিকেলে শ্যামপুরের কমলপুর পঞ্চায়েতের দেউলি দক্ষিণপাড়ার এই ঘটনায় মৃতের নাম স্বপন ডগর (৩৫) ও শ্রাবণী ডগর (৬)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা। পুলিশ মৃতদেহ দু’টি ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে পেশায় গা়িড়চালক স্বপনের সঙ্গে গ্রামেরই বাসিন্দা অপর্ণার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, স্বপন তাঁর রোজগারের অধিকাংশ মদ খেয়ে নষ্ট করতেন। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। প্রায়ই অপর্ণাদেবী দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যেতেন।

অপর্ণাদেবী জানান, সোমবার দুপুরে তেমনই অশান্তির জেরে তিনি ছোট মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি যান। বড় মেয়ে ছিল বাবার কাছে। পড়শিরা জানান, মদ খেয়ে এসে স্বপন প্রথমে মেয়েকে মারছিলেন। পড়শিরা বাধা দিলে তিনি ধমকে তাঁদের চলে যেতে বলেন। অভিযোগ, এরপরই স্বপন মেয়ের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মেয়েটির চিৎকারে পড়শিরা ছুটে আসেন। তখন স্বপনও নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার রাতে মারা যায় টগর। আর মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় স্বপনের।

Advertisement

বড় মেয়ে আর স্বামীকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অপর্ণা। তিনি বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম, ওর নেশা কাটলে বাড়ি এসে বোঝাব। কিন্তু এসে এমন শ্মশান দেখব ভাবতে পারিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন