আতঙ্ক: ত্রস্ত অনুপনগরের বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র
শুধু পুরশুড়া বিধানসভা এলাকাই নয়। আরামবাগ মহকুমা জুড়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মজুত করা বোমা-বারুদ প্রতিদিন উদ্ধার করছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় গোঘাটের অনুপনগর থেকে ১০টি তাজা বোমা এবং গুলি ভরা একটি পিস্তল সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। খানাকুলের চিংড়া থেকে ৮টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুন মাস থেকে বিক্ষিপ্তভাবে গোঘাটের পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের অনুপনগর, রামানন্দপুর, সুন্দরপুর, বহেড়াশোল ইত্যাদি গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। আতাউল হক এবং ফরিদ খান গোষ্ঠীর ওই সংঘর্ষের জেরে এলাকায় দফায় দফায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল গোঘাট থানার পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় অনুপনগরে পুলিশ বাহিনীর আচমকা তল্লাশি অভিযানে ধরা পড়ে গ্রামস্তরের তৃণমূল নেতা সমীরুদ্দিন মল্লিক ওরফে গুনো এবং সেলিম গায়েন। পুলিশ জানায়, গুলি ভরা পিস্তল সহ সমীরুদ্দিনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর সেলিম গায়েনের বাড়ির থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০টি তাজা বোমা। এদিকে ধৃতরা দলের কেউ নয় বলে দাবি করেছেন বিবাদমান দুই নেতা আতাউল হক এবং ফরিদ খান।
রবিবার রাত থেকে খানাকুলের চিংড়ায় তৃণমূলের দুই নেতা বিভাস মালিক বনাম কার্তিক ইশর গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। দু’পক্ষের বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। পুলিশ দু’দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে মাঠে মোট ৮টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। শুধু পুরশুড়া বিধানসভা এলাকতেই গত ৮ দিনের মধ্যে মোট ৫ জন বোমার আঘাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ এবং কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।