বানে দড়ি ছিঁড়ে জেটি-সহ গঙ্গায় তিন, পরে উদ্ধার

গঙ্গার প্রায় মাঝখান দিয়ে ভাসছে একটি জেটি। এক বার এক দিকে কাত হচ্ছে, পরক্ষণেই অন্য দিকে। জেটির উপরে শিকল ধরে শুয়ে দুই যুবক ও এক প্রৌঢ় চিৎকার করছেন, ‘বাঁচাও-বাঁচাও’!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৬ ০০:৪২
Share:

উদ্ধারের পরে বালি নিমতলা ঘাটে দুই যুবক। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার প্রায় মাঝখান দিয়ে ভাসছে একটি জেটি। এক বার এক দিকে কাত হচ্ছে, পরক্ষণেই অন্য দিকে। জেটির উপরে শিকল ধরে শুয়ে দুই যুবক ও এক প্রৌঢ় চিৎকার করছেন, ‘বাঁচাও-বাঁচাও’!

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালে ঘুসুড়ি থেকে বালি পর্যন্ত গঙ্গার পাড়ে থাকা লোকজন এই দৃশ্য দেখলেও কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। একটি লঞ্চ এসে উদ্ধার করে ওই তিন জনকে। জানা যায়, বান দেখতে ঘুসুড়ির গোঁসাই ঘাটের কাছে গঙ্গার পাড়ে একটি পরিত্যক্ত জেটিতে উঠেছিলেন ওই তিন জন। তখনই জলের টানে দড়ি ছিঁড়ে মাঝ গঙ্গায় ভেসে যায় জেটিটি। ঘটনাস্থলের প্রায় সাড়ে চার কিমি দূর থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁদের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গঙ্গায় বান আসার কথা ছিল। সেই মতো আধ ঘণ্টা আগে থেকেই ঘুসুড়ির জয়বিবি রোডের অন্য বাসিন্দাদের মতো দুই ভাই শাহেনশা আলম আনসারি ও সাগির আনসারিও গোঁসাই ঘাটের কাছে গঙ্গার পাড়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানেই ছিলেন শেখ ইসরাইল নামে এক প্রৌঢ়ও। বানের কিছু আগে জলে স্রোত দেখে অন্যদের মতো তাঁরাও পাড়ে বাঁধা পরিত্যক্ত একটি জেটিতে উঠে পড়েন। ওই জেটিতে বান আছড়ে পড়তেই ঘটে বিপত্তি। প্রথমে এক দিকে কাত হয়ে পড়ে জেটিটি। এর পরেই ছিঁড়ে যায় তার দড়ি। আলম বলেন, ‘‘দড়ি ছিঁড়ে যেতেই যে যেমন ভাবে পেরেছেন জলে ঝাঁপ দেন। আমরা তিন জন পারিনি। চোখের নিমেষে দুলতে দুলতে জেটিটি আমাদের নিয়ে মাঝ গঙ্গায় চলে যায়।’’ স্থানীয়েরা জানান, ঘুসুড়ির ওই এলাকাতেই জেটি মেরামতির কাজ করে একটি বেসরকারি সংস্থা। এই জেটিটি ছিল তাদেরই। ইসরাইল ওই সংস্থার কর্মী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement