অগ্নিগর্ভ: পুড়ছে গুদাম। রবিবার রাতে, হাওড়ার গোপালচন্দ্র মুখার্জি লেনে। নিজস্ব চিত্র
গুদামে জায়গা না থাকায় ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় রাস্তার উপরেই ডাঁই করে রাখা ছিল চট ও প্লাস্টিকের বস্তা। রবিবার, কালীপুজোর রাতে বাজির ফুলকি থেকে সেখানেই আগুন লাগে। মধ্য হাওড়ার সব চেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা গোপালচন্দ্র মুখার্জি লেনের ওই গুদামটিতেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যায় সাড়ে তিন কাঠা জমির উপরে তৈরি চটের বস্তা ভর্তি গুদামটি। আগুন ছড়িয়ে পড়ে গুদামের পাশে থাকা একটি গাছেও। সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ঝলসে মারা যায় ফুট আটেক দূরে বেঁধে রাখা একটি গরুও।
দমকল সূত্রের খবর, ওই দিন রাত ২টোর সময়ে ওই গুদামটিতে আগুন দেখতে পান এলাকাবাসীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের খবরে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। হাওড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শ্যাম মণ্ডল বলেন, “প্রাথমিক ভাবে বাজি থেকেই এই আগুন লেগেছে বলে অনুমান।’’
রমেশ কুমার ঠাকুর নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘যেখানে আগুন লেগেছিল, সেটি এমনই জায়গা যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়বার আশঙ্কা ছিল। আগুন ছড়ালে বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। তবে তেমন কিছু হয়নি।।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুদামে আগুন দেখে প্রথমে জল ঢেলে তা নেভানোর চেষ্টা করেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, ওই গুদামটির সামনে রাস্তার উপরেও বেশ কিছু চটের বস্তা রাখা ছিল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে গুদামটির মালিক অনিল চৌবে জানান, তিনি মনোজ সাউ নামে এক ব্যক্তিকে গুদামটি ভাড়া দিয়েছিলেন। তবে এই ঘটনার পর থেকে মনোজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।