ফ্লেক্স তৈরির বরাতে শুরু ভোট-লড়াই

সোমবার সকালে কারখানা খুলতে না খুলতেই প্রায় ২ লক্ষ টাকার বরাত। নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফুটেছে আরামবাগের ফ্লেক্স-ফেস্টুন কারবারিদের।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

আরামবাগ শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪০
Share:

বরাত: চলছে এমনই নানা ফ্লেক্স তৈরি। নিজস্ব চিত্র

সোমবার সকালে কারখানা খুলতে না খুলতেই প্রায় ২ লক্ষ টাকার বরাত। নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফুটেছে আরামবাগের ফ্লেক্স-ফেস্টুন কারবারিদের। প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই দলকে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়ে তৃণমূলের কিছু কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিজয় সুপার মার্কেটের তিন তলায় একটি ফ্লেক্স কারখানায় সকাল থেকেই ভিড় জমেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের। সকালে কলকাতা যাওয়ার পথে গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার আপাতত ১ লক্ষ টাকার বরাত দিয়েছেন। আরামবাগ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাজেশ চৌধুরী বরাত দিয়েছেন আপাতত ৫০ হাজার টাকার। আরামবাগ সিপিএম এরিয়া (১) সম্পাদক পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় এসে জানিয়ে গেছেন তাঁদের অন্তত ৫০ হাজার টাকার কাজ করতে হবে। আর বিজেপির আরামবাগ জেলা সম্পাদক বিমান ঘোষ বরাত না দিলেও বড় কাজের কথা বলে রেখেছেন বলে জানান ব্যবসায়ী রাজীব লাগা।

তিনি বলেন ‘‘যে কোনও ভোটের দিকেই তাকিয়ে থাকি আমরা। আর আমাদের সারা বছর বাঁচিয়ে রাখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্মেলনগুলি। এমনিতে সারা বছরে ব্যবসা হয় ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকার। তবে ভোট এলে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকার ব্যবসা নিশ্চিত।”

Advertisement

বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই কারখানা ছাড়াও আরামবাগ শহরে আরও খান তিনেক ফ্লেক্স-ফেস্টুন কারবারিদের কাছেও আসতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক নেতারা। শুরু হয়েছে দরদাম। বেনেপুকুরের ফ্লেক্স-ফেস্টুন ব্যবসায়ী সুভাষ শর্মা বলেন, “এই সময় কাজ থাকে প্রচুর। কিন্তু কর্মীর অভাবে সব কাজ নেওয়া যায় না।”

এ বার ব্যবসা আরও ভাল হবে বলে আশা কারবারিদের। রাজীব লাগার কথায়, “সিপিএম মোটামুটি ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে বাঁধা থাকছে গত কয়েকটি ভোটে। গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার বেশি কাজ করায়নি। খালি তৃণমূল আড়াই থেকে ৩ লক্ষ টাকার কাজ করিয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘সিপিএম হয়তো বাজেট বাড়াবে না। বিজেপি ইতিমধ্যে প্রায় ২-৩ লক্ষ টাকার কাজের কথা বলেছে। তৃণমূল তো পিছিয়ে থাকবে না। ওদের ব্যবসা ৮ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে।”

তৃণমূলের ক্ষেত্রে বিধায়ক স্তর, ব্লক স্তর ছাড়াও অঞ্চল স্তরের নেতারাও নিজের নাম প্রচারকের জায়গায় রেখে ফ্লেক্স-ফেস্টুন করান। যেমন দলের নেত্রীর ছবি, প্রার্থীর ছবির তলায় প্রচারক হিসাবে নিজেদের নামটা থাকবে।

ফেস্টুন-ফ্লেক্সে ভোট প্রচারের কয়েকটি স্লোগান ঠিক করেছে বিভিন্ন দল। তৃণমূল এ বার সিপিএমকে ছেড়ে বিজেপিকে ‘টার্গেট’ করেছে। তাদের স্লোগান, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’। সিপিএমের স্লোগান, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। তৃণমূলকে হারাও, রাজ্য বাঁচাও’। আর বিজেপির স্লোগান, ‘আগলিবার, ফির মোদী সরকার’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন