—প্রতীকী ছবি।
মা-বাবার কাছে বকুনি খেয়ে কীটনাশক খেয়েছিল মাধ্যমিকের ছাত্রীটি। শুক্রবার হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষা দিল সে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়েটিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল হাওড়া জেলা হাসপাতালে। কিছুটা সুস্থ হলে এ দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে বসে পরীক্ষা দেয় ওই ছাত্রী। জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের উদ্যোগে সমস্ত ব্যবস্থা করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যে ঘরে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের এক প্রতিনিধি।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি কোনার দাশনগরে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া করায় মা-বাবা বকুনি দিয়েছিলেন তাকে। পুলিশের ধারণা, সেই অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই পড়ুয়া। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির লোকজন তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই ছাত্রীর সিট পড়েছে হেমনগর হেমচন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে। এ দিন কিছুটা সুস্থ বোধ করায় সে পরীক্ষা দিতে চায়। তার মা-বাবা বিষয়টি জানান হেমনগর হেমচন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষককে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন চারটি সেন্টারের দায়িত্বে থাকা সেন্টার সেক্রেটারি বিভাস দেওয়াশিকে। এর পরেই হাওড়া জেলা পরিদর্শকের নির্দেশে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র নিয়ে আসেন বিভাসবাবুই।
এ দিন হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বিভাসবাবু বলেন, ‘‘সব ব্যবস্থা করতে একটু সময় লেগেছে। তাই আমি স্কুলশিক্ষা দফতরকে অনুরোধ করেছিলাম ওই সময়টুকু অতিরিক্ত দেওয়ার জন্য। স্কুলশিক্ষা দফতর তা মঞ্জুর করেছে।’’ ছাত্রীটি যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে, তা দেখতে হাসপাতালে আসেন জগাছা এলাকার মেন ভেনু ইন-চার্জ দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের চিকিৎসক অনুমতি দেওয়ার পরে হাতে স্যালাইন নিয়েই ছাত্রীটি পরীক্ষা দিয়েছে। এটা অন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে অবশ্য শিক্ষণীয়।’’