প্রহৃত: হাসপাতালে ভর্তি জখম ছাত্রনেতা। নিজস্ব চিত্র
এক দিনের ব্যবধানেই ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তেতে উঠল শ্রীরামপুর কলেজ। সংগঠনের এক নেতাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে প্রহৃত ছাত্রনেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
মাস কয়েক আগে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময় থেকেই টিএমসিপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে বারবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বর। কলেজের ব্যাপারে নাক গলানোয় একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলরকে দলের তরফে সতর্ক করা হয়। ঝুম মুখোপাধ্যায় নামে এক কাউন্সিলরকে সাসপেন্ড পর্যন্ত করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বি কমের ফর্ম ফিল-আপ চলার সময় পড়ুয়াদের লাইন ঠিক করা নিয়ে কলেজের এক টিএমসিপি নেতার সঙ্গে অপর গোষ্ঠীর এক নেত্রীর গোলমাল হয়। সোমবার বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের গোলমাল হয়। আকাশ পাত্র এবং অজিত যাদব নামে দুই টিএমসিপি নেতা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মঙ্গলবার তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে কলেজ গেটে ফের অজিতের উপর হামলা চালায় বিরোধী গোষ্ঠীর এক দল ছেলে। তাদের মধ্যে কয়েক জন বহিরাগতও ছিল। রাস্তায় ফেলে রড দিয়ে ওই ছাত্রনেতাকে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে তার পিঠে গভীর ক্ষত হয়ে যায়।
খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ গিয়ে প্রহৃত ছাত্রনেতাকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করায়। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন আগে কলেজে পড়তেন। অপর জন বহিরাগত বলে কলেজের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অজিতের ঘনিষ্ঠ সহপাঠীরা জানান, থানায় এফআইআর করা হবে। জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেলে সেই মতো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অজিতের বিরোধী গোষ্ঠীর একাংশের অবশ্য অভিযোগ, এ দিন অজিতের নেতৃত্বে দুই ছাত্রকে মারধর করা হচ্ছিল। তখন তাঁরা পাল্টা প্রতিরোধ করেন।
জেলা টিএমসিপি সভাপতি গোপাল রায় বলেন, ‘‘কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে বলেছি, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘ওখানকার সমস্যা নিয়ে স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে।’’