হুগলিতে বছর চারেক আগেই বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে। লাভজনক হলেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এই চাষের এলাকা বাড়েনি।
তাই এ বার বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষকে জনপ্রিয় করে তুলতে ব্লক ধরে ধরে বিশেষ প্রচার এবং শিবিরের আয়োজন করছে সংশ্লিষ্ট দফতর। আজ মঙ্গলবার থেকে ব্লক পিছু ৫০ জন চাষিকে ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে বীজতলা তৈরি থেকে পেঁয়াজ তোলা পর্যন্ত এই চাষের নানা বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহল করবে উদ্যান পালন দফতর।
জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭৫ বিঘা। ১ শতক পিছু চাষির ২০০ টাকা খরচ হলে ভর্তুকি ৮০ টাকা। এ বছর নির্দিষ্ট কোনও লক্ষ্যমাত্রা নেই। চাষিদের যেমন চাহিদা থাকবে সেই মতো ব্যবস্থা নেবে দফতর। নাসিক থেকে ‘এগ্রি ফাউন্ড ডার্ক রেড’ প্রজাতির বীজ যাতে চাষিরা পান, সে জন্য যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেবে দফতর। বীজ বপনের সময় জুন মাসের শেষ থেকে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ। দু’মাস পরেই গাছ-সহ পেঁয়াজ ভাল দামে বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
উদ্যান পালন দফতরের উদ্যোগে ২০১২ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে মাত্র ১৫ বিঘা জমিতে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন বলাগড়, পোলবা এবং চিনসূরা-মগরা ব্লকের কয়েক জন চাষি। পরের বছর চাষ শুরু হয় আরামবাগ, গোঘাট, তারকেশ্বর, হরিপাল, ধনেখালি ব্লকে। প্রকল্পটি রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অন্তর্গত। যেখানে জমি উঁচু সেখানে সেচ দিয়ে কষ্ট করে আমন ধান ফলান চাষিরা। অতিরিক্ত খরচ করে লাভ পান না। কেউ কেউ জমি ফেলেও রাখেন। সেই সব জমিতে বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষ চালু করাতে পারলে বিকল্প চাষে উৎসাহ পাবেন চাষিরা। এটাই লক্ষ্য বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকেরা।
উদ্যান পালন দফতরের মতে, বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষে বিঘা পিছু খরচ প্রায় ২০ হাজার টাকা। এই পেঁয়াজ চাষ করে বিঘায় ৮০ থেকে ১০০ মণ পর্যন্ত মেলে। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে বর্ষায় পেঁয়াজের দাম যা থাকে তাতে বিঘায় লাভ থাকবে ৫০-৬০ হাজার টাকা।
জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সাগর কোনার বলেন, ‘‘বর্ষাকলীন পেঁয়াজ চাষের এলাকা বাড়ানোর জন্য আমরা প্রতিবছর বর্ষার আগে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। কিন্তু আশানুরূপ ফল মেলেনি।’’