tmc

কল্যাণের বৈঠকেও দ্বন্দ্ব মেটেনি জেলা তৃণমূলে

দিলীপ-বিরোধী বলে পরিচিত হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না বৈঠকে গেলেও মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন বলে জেলা তৃণমূল সূত্রের দাবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র

বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে। কোন অঙ্কে হুগলিতে দলের সভাপতি দিলীপ যাদবের সঙ্গে বিধায়কদের একাংশ এবং এক সাংসদের দ্বন্দ্ব মিটবে তা নিয়েই চিন্তায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

Advertisement

দলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমতো গত শুক্রবার শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চুঁচুড়ায় দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু তাতেও বিবাদ মেটেনি বলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। বৈঠকে আসেননি আরামবাগের দলীয় সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। দিলীপ-বিরোধী বলে পরিচিত হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না বৈঠকে গেলেও মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন বলে জেলা তৃণমূল সূত্রের দাবি। কেউ কেউ এই ‘আচরণ’কে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা বলে মনে করছেন।

ওই বৈঠকে উপস্থিত এক বিধায়ক বলেন, ‘‘হরিপালের বিধায়ক সভায় নয়, সাংসদ কল্যাণবাবুর সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলতে চান। অন্য দিলীপ-বিরোধী বিধায়কেরাও সে ভাবে মুখ খোলেননি। তা হলে আর বৈঠকের মানে কী? দল তো সকলের সঙ্গে কথা বলেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান চেয়েছিল। এটা তো পুরোপুরি দলকে উপেক্ষা করা!’’ আর এক বিধায়ক বলেন, ‘‘আরামবাগের সাংসদ দলের জেলা সভাপতির কাজে ক্ষুব্ধ। তিনি তা নিয়ে দু’টি বৈঠকও সেরে ফেলেন। অথচ, দল যখন নির্দেশ দিল, সভায় উপস্থিত থেকে বিষয়টি মেটাতে, তিনি অনুপস্থিত থাকলেন। এই সব ক্ষোভের মানে কী?’’ বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দিলীপ-বিরোধী বলে পরিচিত উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন, ‘‘যা বলার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই বলবেন।’’

Advertisement

কল্যাণবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দল আগামী দিনে কী ভাবে চলবে সে সংক্রান্ত সাংগঠনিক আলোচনা হয়।’’

কিন্তু অপরূপা কেন এলেন না?

আরামবাগের সাংসদের দাবি, ‘‘বৈঠকে যাওয়ার জন্য তৈরিই ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ সন্তানের শরীর খারাপ হয়। বিষয়টি কল্যাণবাবু এবং কয়েকজন বিধায়ককেও জানিয়েছিলাম।’’ বৈঠকে তিনি তাঁর ক্ষোভের কথা কেন জানালেন না, এই প্রশ্নের উত্তরে বেচারাম বলেন, ‘‘যা বলার কল্যাণবাবুকে বলব।’’ বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দিলীপ।

কারও সঙ্গে আলোচনা না-করে দলের জেলা সভাপতি একাই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, এটাই অভিযোগ বিধায়কদের একাংশ এবং সাংসদ অপরূপা। এ নিয়ে তাঁরা নিজেদের মধ্যে দু’দফায় বৈঠকও করে ফেলেছেন। সে কথা কানে যেতেই দ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপর হয় দলের রাজ্য নেতৃত্ব। দিলীপ অবশ্য প্রথম থেকেই দাবি করছেন, অভিযোগ অসত্য। তিনি সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই কাজ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement