TMC

দলীয় কর্মসূচি ঘিরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

বৈঁচীগ্রামের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ রত্না দে নাগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৬:০০
Share:

প্রতীকী ছবি

দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ, সাংবাদিক সম্মেলন করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে দলের কথা। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেও পান্ডুয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠল তৃণমূলের। দলের ব্লক সভাপতি-সহ প্রথম সারির একাধিক নেতা মঙ্গলবারের ওই কর্মসূচিতে গরহাজির রইলেন।

Advertisement

বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল বিধায়কের উপরেই সাংবাদিক সম্মেলনের দায়িত্ব বর্তেছে। যেখানে দলীয় বিধায়ক নেই, সেখানে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পান্ডুয়া বিধানসভা তৃণমূলের দখলে নেই। ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় ঠিক করেছিলেন, মঙ্গলবার দুপুরে পান্ডুয়ায় সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে। সেই মতো তিনি সাংবাদিকদের আমন্ত্রণও জানান। পরে দলের আর এক গোষ্ঠীর তরফে স্থান পরিবর্তন করে ওই কর্মসূচি পালিত হয় বৈঁচীগ্রামে।

বৈঁচীগ্রামের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ রত্না দে নাগ। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনিসুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায়রা।

Advertisement

তবে অসিত, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা, দলের নেতা রহিম নবিদের দেখা যায়নি। এ নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে কাজিয়া প্রকাশ্যে চলে আসে।

অসিতের দাবি, ‘‘আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়নি। তাই যাইনি। যা বলার দলের নেতাদের বলব।’’ নবি, চম্পারও একই দাবি।

দলের বর্ষীয়ান নেত্রী রত্না দে নাগের অবশ্য দাবি, ‘‘সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। হয়তো অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় ওঁরা আসতে পারেননি।’’

অসিত গোষ্ঠীর সঙ্গে আনিসুল-সঞ্জয় গোষ্ঠীর বিবাদ নতুন নয়। বারবারই এ নিয়ে দলকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। জেলা নেতৃত্ব একাধিক বার হস্তক্ষেপ করেও কোন্দল বন্ধ করতে পারেননি। দলের এক প্রবীণ কর্মী বলেন, ‘‘আমরা হতাশ। নেতাদের মধ্যেই বনিবনা নেই। কার কাছে নিজেদের সমস্যার কথা বলব, বুঝে উঠতে পারি না।’’

আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত এবং লকডাউনে বেকায়দায় পড়া সাধারণ মানুষ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে রাজ্য সরকার কী ভাবে দাঁড়িয়েছে, সাংবাদিক সম্মেলনে তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন রত্না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন