Jute Mill worker

গোন্দলপাড়ায় স্বস্তির সঙ্গে মিশে সংশয়ও

কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, বহু শ্রমিক পরিবারই ভরসা পাচ্ছে না।

Advertisement

প্রকাশ পাল ও তাপস ঘোষ

চন্দননগর শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি

চায়ের দোকানের আড্ডায় যেন প্রাণ ফিরেছে! রাস্তার মোড়ের জটলার মুখগুলো থেকেও চিন্তার বলিরেখা সরেছে অনেকটাই। মেশিন ঘুরিয়ে চটজাত সামগ্রী উৎপাদনের জন্য নিশপিশ করছে শ্রমিকের হাত। বিষাদ কাটিয়ে চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিক মহল্লায় বৃহস্পতিবার স্বস্তির ছায়া। সঙ্গে সংশয়ও। মিল খুললেও ঠিকঠাক চলবে তো!

Advertisement

আর্থিক মন্দা, শ্রমিক অসন্তোষ-সহ নানা কারণ দেখিয়ে ২০১৮ সালের ২৭ মে ওই জুটমিলে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত, গত বুধবার কলকাতায় শ্রম দফতরে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অচলাবস্থা কাটিয়ে আগামী পয়লা নভেম্বর মিল খোলার সিদ্ধান্ত হয়। দুর্গাপুজোর মুখে সেই খবরেই শ্রমিক মহল্লায় স্বস্তি এসেছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হচ্ছে, বহু শ্রমিক পরিবারই ভরসা পাচ্ছে না। কারণ, এ পর্যন্ত বহুবার মিল বন্ধ হয়েছে।

এ দিন সকালে শ্রমিক মহল্লায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে মিল চালু নিয়ে আলোচনা চলছে। বাড়ির মেয়ে-বৌয়ের কথাতেও আনন্দের রেশ। এক শ্রমিকের কথায়, ‘‘গত লোকসভা ভোটের মুখে কয়েক দিনের জন্য উৎপাদন চালু করেও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েক মাস পরেই শুনছি বিধানসভা ভোট। এ বারেও আমাদের সঙ্গে তেমন কিছু হবে না তো! মিল খোলার খবরে আনন্দ হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ভয় যাচ্ছে না।’’

Advertisement

শ্রম দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘দীর্ঘ আলোচনার পরে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে মিল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিভিন্ন চটকলেই উত্থান-পতন থাকে। তবে, আশা করছি, সুষ্ঠু ভাবেই মিল চলবে। উৎপাদনে কোনও সমস্যা হবে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শ্রমিক-সহ সব পক্ষই তো চান, উৎপাদন চালু থাকুক। সেই ব্যবস্থাই হয়েছে। ফলে, এখন অমূলক আশঙ্কার সময় নয়। শ্রমিকরা ফের দলে দলে কাজে যোগ দেবেন, শিল্প চাঙ্গা হবে, এটাই সবাই দেখতে চাই।’’

মিল বন্ধের প্রভাব পড়েছিল স্থানীয় অর্থনীতিতে। তার উপরে লকডাউনে জেরবার অবস্থা হয়েছিল এলাকার ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের। মিল খোলার সিদ্ধান্তে হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখেও। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘শ্রমিক পরিবারের উপরে আমাদের রোজগার নির্ভর করে। এত দিন খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। শ্রমিক রোজগার করলে আমাদের ব্যবসাও আবার ভাল চলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন