জেলার দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা তাঁদের বিশেষ চেনেন না। সোমবার দুই জেলার পাঁচটি লোকসভা আসনের জন্য এমনই প্রার্থী-তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস।
শ্রীরামপুরে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন সল্টলেকের বাসিন্দা দেবব্রত বিশ্বাস। তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা। এ দিনই সন্ধ্যায় শেওড়াফুলিতে এসে দলের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে দেখা করে রণনীতি নিয়ে কথা বলেন দেবব্রতবাবু। তিনি জানান, শীঘ্রই পুরোদস্তুর প্রচারে নামবেন।
হুগলি কেন্দ্রে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে প্রতুল সাহাকে। বছর আটান্নর প্রতুলবাবু জিরাটের বাসিন্দা। তিনি জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি। আগে তিনি দলের হয়ে জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি। প্রতুলবাবুর কথায়, ‘‘রাজ্যে তৃণমূল আর কেন্দ্রে বিজেপির হাতে গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত। এখন রাহুল গাঁধীই একমাত্র বিকল্প।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দারের বাড়ি রিষড়ায়। এ বার আরামবাগ কেন্দ্রে তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করবেন রিষড়ারই বাসিন্দা জ্যোতি দাস। তিনি রিষড়ার কংগ্রেস কাউন্সিলর ব্রহ্মদেও রবিদাসের স্ত্রী। বর্তমানে দলের রিষড়া শহর মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী।
হাওড়া দুই আসনের দুই প্রার্থীই কলকাতার বাসিন্দা। হাওড়া সদর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন প্রবীণ নেত্রী শুভ্রা ঘোষ। তিনি একসময়ে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে হাওড়া জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন। উলুবেড়িয়ার প্রার্থী সোমা রানিশ্রী রায়। সোমাদেবী কলকাতা কেন্দ্রিক রাজনীতি করেন। তিনি এআইসিসি সদস্য বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য। উলুবেড়িয়া পূর্ব বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি কংগ্রেস।