পিটিয়ে খুন, গ্রেফতার ভাই

মলয় বলেন, ‘‘আমি কাজে ছিলাম হাওড়ায়। সেখানেই প্রতিবেশীদের ফোনে জানতে পারি, বাবাকে মারধর করা হয়েছে। কিন্তু কেউ হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩৬
Share:

ধৃত: আদালতের পথে অনিমেষ। নিজস্ব চিত্র

এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ গ্রেফতার করা হল তাঁরই এক সম্পর্কিত ভাইকে। বৃহস্পতিবার রাতে শ্যামপুরের বারগ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নাম হারাধন বাগ (৫০) পেশায় দিনমজুর।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১০টার পরে হারাধনের ছেলে মলয় বাগের ফোন পেয়ে পুলিশ নারাইল গ্রামে গিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে। গুরুতর জখম অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে কিছু ক্ষণ পরেই মারা যান হারাধন। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় অনিমেষ সাউটিয়া নামে এক ব্যক্তিকে।

মলয় বলেন, ‘‘আমি কাজে ছিলাম হাওড়ায়। সেখানেই প্রতিবেশীদের ফোনে জানতে পারি, বাবাকে মারধর করা হয়েছে। কিন্তু কেউ হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হননি। বাধ্য হয়ে পুলিশকেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি।’’ নিহতের স্ত্রী আলপনার দাবি, রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরেছিলেন হারাধন। কারও ফোন পেয়ে ফের বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে প্রতিবেশীরাই আলপনাকে জানান হারাধনকে মারধর করা হচ্ছে। আলপনা বলেন, ‘‘আমি গিয়ে দেখি অনিমেষ একটা শাবল দিয়ে মারছে স্বামীকে। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও মারতে আসে।’’ আলপনা জানান, বহু বছর ধরে অনিমেষদের সঙ্গে সম্পত্তি-সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে হারাধনের পরিবারের।

Advertisement

শুক্রবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে অনিমেষের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অনিমেষ অবশ্য দাবি করে, মদ্যপ অবস্থায় তার বাড়ির সামনে এসে গালিগালাজ করছিলেন হারাধন। অনিমেষের কথায়, ‘‘আমার স্ত্রীকে কটূক্তি করেছিল। মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। তাই মেরেছি। তা বলে মরে যাবে বুঝতে পারিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন