আদালতের পথে অনিল জাসু। নিজস্ব চিত্র
কন্যাসন্তান জন্মের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িেত তার মায়ের উপর অত্যাচার বাড়ছিল বলে অভিযোগ ছিলই। বৃহস্পতিবার রাতে ঘর থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর উঠল শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগও। উলুবেড়িয়ার পশ্চিম বাহিরতফা এলাকার বাসিন্দা শুভ্রা জাসু (২৪) ও তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে ঋতুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করা হয় শুভ্রার স্বামী অমিতকে।
শনিবার তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে মৃতার অভিযুক্ত দুই দেওর, কাকা, কাকিমা ও খুড়তুতো ভাই পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে শ্যামপুরের সৈয়দপুরের বাসিন্দা মুকুন্দরাম মাঝির একমাত্র মেয়ে শুভ্রার সঙ্গে উলুবেড়িয়ার অমিত জাসুর বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাঁদের একটি মেয়ে হয়। অভিযোগ, এরপর থেকেই সংসারে অশান্তি শুরু হয়। কেন মেয়ে হয়েছে, তা নিয়ে নিত্য গঞ্জনা দেওয়া হত। এমনকি মারধর করা হত বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে শুভ্রা ও ঋতুর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এক প্রতিবেশী। তিনিই পুলিশে খবর দেন।
মৃতার ভাই সমীরণ মাঝির অভিযোগ, ‘‘মেয়ে হওয়ার জন্য দিদিকে ওর বর খুব মারধর করত। দিদিকে আমরা বাড়ি নিয়ে আসার কথাও ভাবছিলাম। তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।’’