অপেক্ষা: দোকানঘর সাজবে নতুন ভাবে। ফাইল চিত্র
চার বছরের বেশি আগে চালু হয়েছে বাসস্ট্যান্ড। কথা ছিল, সেখানে বাস দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই দোকানঘর ভাড়া দিয়ে আয় করবে জেলা পরিষদ। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড চালু হলেও দোকানঘরগুলি চালু হয়নি বললেই চলে।
তবে দেরিতে হলেও সেই দোকানঘরগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া জেলা পরিষদ। ইতিমধ্যেই ডাকা হয়েছে টেন্ডার।
হাওড়া জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের শেষ দিকে ডোমজুড় শহরের কেন্দ্রস্থলে ওই বাসস্ট্যান্ড এবং দোকানঘরগুলি তৈরি করেছিল তৎকালীন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদ। সেটি চালু হয় ২০১২ সালে। ওই বাসস্ট্যান্ডে বাস, ট্রেকার, অটো দাঁড়ালেও দোকানঘরগুলি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, দোকানঘরগুলির সামনে সার দিয়ে বাস দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে বেশিরভাগ সময়ে দোকানগুলি দেখাই যায় না। তাই সেগুলি কেউ ‘লিজ’ নিতে উৎসাহী নন।
২০১৩ সালে হাওড়া জেলা পরিষদের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূল নেতাদের একাংশ দাবি করছিলেন, বাম আমলে তৈরি ওই বাসস্ট্যান্ডের নকশায় গোলমাল রয়েছে। জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ড ও দোকানঘরগুলি অবৈজ্ঞানিকভাবে তৈরি হয়েছিল। দোকানঘরগুলিকে নতুন করে সংস্কারের জন্য এক কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বসা হচ্ছে। আশা করি দু’মাসের মধ্যে দোকানঘরগুলি চালু করা যাবে।’’
দোকানঘরগুলি নতুন করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পূর্বতন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওই বাসস্ট্যান্ড ও দোকানঘরের কাজ আমরা শেষ করতে পারিনি। তার আগেই ভোটে হেরে যাই। শুনেছি জেলা পরিষদের বর্তমান বোর্ড কাজটি শেষ করার পরিকল্পনা করেছে। এটা ভালো কথা।’’