বেগমপুরের বাড়ি থেকে নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়ার হোমে পাঠাল প্রশাসন। প্রতীকী ছবি।
ছেলে বা মেয়ে, কারও বিয়ের বয়স হয়নি। তবু মেয়েটি ‘শ্বশুরবাড়িতে’ এসে সংসার শুরু করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠায়। ছেলেটিকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু জামিন পেয়ে ছেলেটি ফের ওই কিশোরীকে নিজের বাড়িতে এনে রাখে। বৃহস্পতিবার চণ্ডীতলা-২ ব্লকের বেগমপুরের ওই বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়ার হোমে পাঠাল প্রশাসন।
ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই নাবালক বা নাবালিকার বিয়ে মেনে নেওয়া হবে না। ছোটদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করার কাজ চলছে। মেয়েটির কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে। হোমে থেকেই সে যাতে পড়াশোনা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও হচ্ছে।’’
প্রশাসন সূত্রের খবর, মেয়েটির বয়স পনেরো বছর আট মাস। সে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। একই এলাকার বাসিন্দা ছেলেটির বয়স উনিশ বছর। সে ছোটখাটো কাজ করে। দিন কুড়ি আগে তারা বিয়ে করে তারকেশ্বরে একটি জায়গায় ভাড়া থাকছিল। দিনকয়েক পরে খবর পেয়ে চণ্ডীতলা থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়। ছেলেটিকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ জানুয়ারি মেয়েটির বাবা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে জানান, সাবালিকা না-হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে সংসার করতে পাঠানো হবে না। ছেলেটির থেকেও মুচলেকা নেওয়া হয়। যদিও দু’দিন আগে সে মেয়েটিকে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ব্লক সমাজকল্যাণ আধিকারিক বিপ্লব বিশ্বাস পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের আধিকারিদের নিয়ে ছেলেটির বাড়িতে যান। সেখানে মেয়েটি দিব্যি সংসার করছিল। বিপ্লববাবু জানান, ওই বাড়ি থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে।