ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত শিক্ষক

কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালেও পরে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে। সোমবার সকালে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে তাঁর পরিবারের লোকজন এবং সহপাঠীরা অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভও দেখান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৮
Share:

কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানালেও পরে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীর পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার আরামবাগের নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে। সোমবার সকালে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে তাঁর পরিবারের লোকজন এবং সহপাঠীরা অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বিক্ষোভও দেখান। পরে বিকালে পিসিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান ওই ছাত্রী। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য, “ক্লাসে প্রায় ১০০ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। আমি ছাড়াও ক্লাসে ছিলেন আরও দু’জন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীকে বলেছি, আমার আচরণে কোনওরকম আঘাত পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

কলেজের অধ্যক্ষ অসীম দে বলেন, “ছাত্রীর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আগামী ৩০ মার্চ পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। নারী নির্যাতন সমর্থন করার প্রশ্ন নেই। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে থানা যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।” পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “পরিচালন কমিটির বৈঠকে ওই শিক্ষকের কাছে সমস্ত বিষয়টি জানতে চাওয়া হবে। ছাত্রী এবং তাঁর অভিভাবকদেরও কথাও শোনা হবে। তার পর সমস্ত দিক বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

Advertisement

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলা (সাধারণ) বিভাগের শারীরবিদ্যার পরীক্ষা চলছিল শনিবার। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। ছাত্রীর অভিযোগ, তিনি বেঞ্চের ধারের আসনে বসেছিলেন। তাঁর পাশ দিয়ে বার বার যাতায়াতের সময় ওই শিক্ষক তাঁকে শারীরিকভাবে উত্যক্ত করছিলেন। ছাত্রীর বক্তব্য, “এক ঘর পরীক্ষার্থী এবং ঘরে আরও তিনজন শিক্ষক থাকায় মৃদু প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু ওই শিক্ষক তাতেও দমেননি। বিরক্ত হয়ে এক ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হই। ওই দিনই কলেজ কতৃর্পক্ষকে সব জানাই।” কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনাটি শুনে সঙ্গে সঙ্গে ওই শিক্ষককে ডাকা হয়েছিল। তিনি জানান, ছাত্রীর অভিযোগ ঠিক নয়। তবে সেই সঙ্গে ওই ছাত্রীকে এও বলেন যে ‘নিজের অজান্তে যদি তোর কোনও অসুবিধা করে থাকি তার জন্য আমি অনুতপ্ত’।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন