Crime

কুকুরকে খাওয়ানোয় লাঠিপেটা মা-মেয়েকে

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লিলুয়ার সূর্যনগর এলাকার পথকুকুরদের গত কয়েক বছর ধরে সেবা-শুশ্রূষা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা অশোক বর্ধনের স্ত্রী কল্পনাদেবী ও তাঁর ১৮ বছরের মেয়ে দিয়া। তা নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে তাঁদের কিছু দিন ধরে গোলমাল চলছিল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পথকুকুরকে খাওয়ানোর কারণে রবিবার রাতে হাওড়ার লিলুয়ায় পড়শির হাতে প্রহৃত হলেন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লিলুয়ার সূর্যনগর এলাকার পথকুকুরদের গত কয়েক বছর ধরে সেবা-শুশ্রূষা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা অশোক বর্ধনের স্ত্রী কল্পনাদেবী ও তাঁর ১৮ বছরের মেয়ে দিয়া। তা নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে তাঁদের কিছু দিন ধরে গোলমাল চলছিল।

পুলিশ জানায়, রবিবার একটু বেশি রাতেই কুকুরদের ডেকে বাড়ির সামনে খেতে দেন মা ও মেয়ে। খাবার পেয়েই মারামারি-চিৎকার শুরু করে কুকুরগুলি। অভিযোগ, কুকুরের চিৎকারে বিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ওই যুবক রাস্তা থেকে ইট তুলে ছুড়তে থাকেন কল্পনাদেবীদের বাড়িতে। রাতে কুকুরদের চিৎকারে তাঁর ঘুম ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ তুলে যুবকটি কল্পনাদেবীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: গেছো ‘দাদা’ না ‘ভূত’! বাঁশদ্রোণীর বৃদ্ধার নালিশে বিপাকে পুলিশ

আরও পড়ুন: অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছুটে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধা! ১০০ ডায়ালে ফোন প্রতিবেশীর​

কল্পনাদেবীর অভিযোগ, ‘‘ঝগড়া শুনে মেয়ে বেরিয়ে আসতেই অশালীন ভাষায় ওকেও গালিগালাজ শুরু করে ছেলেটি। প্রতিবাদ করলে লাঠি নিয়ে মেয়েকে বেধড়ক মারতে শুরু করে। আমি বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারে।’’

হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিয়ার ডান হাতের আঙুল ভেঙেছে, মাথায় লেগেছে। সেখানেই তিনি ভর্তি। কল্পনাদেবীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেয় জেলা হাসপাতাল। তিনি জানান, মার খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন দিয়া। মেয়েকে তুলতে গেলে তাঁকেও লাঠিপেটা করেন ওই যুবক। প্রতিবেশী কয়েক জন মহিলা এসে তাঁদের বাঁচান। মঙ্গলবার হাসপাতালে বসে দিয়া বলেন, ‘‘নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এসে ছেলেটি একটা বড় লাঠি দিয়ে আমার মাথায়, পিঠে আঘাত করে। হাতের আঙুল ভেঙে যায়।’’ ঘটনার পরেও অবশ্য কল্পনাদেবী বলছেন, ‘‘কুকুরগুলি অসহায়, আমার সন্তানের মতো। ওদের কোনও ভাবেই অভুক্ত রাখব না।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন