উলুবেড়িয়ায় দাঁড়ান মুকুল, চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের

শনিবারের সভায় মুকুলবাবু অভিযোগ করেছিলেন, কয়লার চোরাচালান, বালি খাদান, পাথর খাদান এবং গরু পাচারের টাকা কোথায় যায় পুলিশ জানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৩৩
Share:

লোকারণ্য: উলুবেড়িয়ায় তৃণমূলের সমাবেশ। নিজস্ব চিত্র

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে শনিবার উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়ায় সভা করতে এসেছিলেন মুকুল রায়। সোমবার পাল্টা সভা করল হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) তৃণমূল। সেই মঞ্চ থেকে উলুবেড়িয়া লোকসভার উপনির্বাচনে বিজেপির টিকিটে মুকুল রায়কে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ করলেন উপস্থিত তৃণমূল নেতারা।

Advertisement

এ দিন সভায় ছিলেন হাওড়া জেলার দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরূপ রায়, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ সফি, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, মন্ত্রী অসীমা পাত্র প্রমুখ।

শনিবারের সভায় মুকুলবাবু অভিযোগ করেছিলেন, কয়লার চোরাচালান, বালি খাদান, পাথর খাদান এবং গরু পাচারের টাকা কোথায় যায় পুলিশ জানে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন রাজীববাবু বলেন, ‘‘২০১৭ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত মুকুল রায় তৃণমূলে ছিলেন। এত কথা যদি জানতেন তাহলে তখন বলেননি কেন? আসলে এইসব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। সব কুৎসা।’’ একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, মুকুলবাবু এখন তৃণমূলের নামে কুৎসা করছেন। পরে অন্য দলে যোগ দিলে তখন কিন্তু বিজেপির নামেও কুৎসা করবেন। সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়ের কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মুকুল রায়।’’

Advertisement

সম্প্রতি সাংসদ সুলতান আহমেদের মৃত্যুতে উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনটি শূন্য হয়েছে। সেখানে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা না হলেও ওই আসন নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘরোয়া প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। শনিবার বিজেপির জনসভায় এসে উলুবেড়িয়া লোকসভা উপনির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুকুলবাবু বলেছিলেন, ‘‘দাঁত দাঁত চেপে লড়াই করলে এখানে ভাল ফল করা সম্ভব।’’ এ দিনের সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ তুলে হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায় দাবি করেন, ‘‘সাহস থাকে তো মুকুল রায় নিজে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে এই লোকসভা আসনে দাঁড়ান। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হবে।’’ রাজীববাবু ও অরূপবাবুও এ দিন মুকুল রায়কে উলুবেড়িয়া আসন থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দিতা করার চ্যালেঞ্জ জানান।

শনিবার বিজেপির সভাতে ভালই ভিড় হয়েছিল। তারপর ওই রাতেই সোমবার পাল্টা সভা করার কথা জানিয়েছিল জেলা তৃণমূল। এ দিনও জনসমাবেশ ছিল চোখে পড়ার মতো। এ দিন সভায় ভিড়ের জন্য মুম্বই রোডের খড়্গপুরমুখী লেনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কলকাতামুখী লেন দিয়েই দু’দিকের গাড়ি চলাচল করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন