মৃত: সেলিমা বেগম।
বিয়ের পরেও দাবিমতো বাড়তি পণ না-মেলায় এক যুবতীকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে উলুবেড়িয়ার কাটরা দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা, সেলিমা বেগম (২১) নামে ওই যুবতীর মৃতদেহ তাঁর ঘর থেকেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। মৃতের দাদা, পাঁচলার রাজখোলা এলাকার বাসিন্দা, শেখ আব্দুল পুলিশের কাছে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ মাস আগে পাঁচলার রাজখোলার সেলিমার সঙ্গে উলুবেড়িয়ার দেওয়ান পাড়ার বাসিন্দা, পেশায় জরির কারিগর এরশাদ দেওয়ানের বিয়ে হয়। শেখ আব্দুল পুলিশকে জানান, বিয়ের সময় বোনের শ্বশুরবাড়ির দাবিমতো নগদ টাকা, সোনার গয়না এবং আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও আরও টাকার দাবিতে বোনের উপর অত্যাচার শুরু হয়। বেশ কয়েক বার এরশাদের সঙ্গে কথা বলে, সাধ্যমতো টাকা দিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলেও তা মেটেনি। টাকার দাবিতে বোনের উপর অত্যাচার চলতেই থাকে।
আব্দুলের অভিযোগ, বুধবার গভীর রাতে বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয়, সেলিমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। কিন্তু ওঁর গায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল, গলাতেও দাগ ছিল। দেহ খাটে শোয়ানো ছিল। ময়নাতদন্তের বিষয়ে বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আপত্তি জানায়।