সম্প্রতি উত্তরপাড়া গণভবনে মাখলা শিঞ্জিনী ও ভারত সরকারের যৌথ উদ্যোগে সঙ্গীত ও নৃত্যের এক কর্মশালা এবং প্রতিযোগিতা হয়ে গেল।
উৎসবের সূচনা হয় গণেশবন্দনায়। এরপর মাখলা শিঞ্জিনী ও তোয়ী নৃত্য সংস্থা রবীন্দ্র ও আধুনিক নৃত্য পরিবেশন করে। মাখলা লুই ব্রেইল মেমোরিয়াল স্কুল ফর দা সাইটলেসের ছাত্রছাত্রীদের রবীন্দ্রনৃত্য দর্শকদের আনন্দ দেয়। তবলা লহরায় সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য এবং নৃত্যে তাপস দেবনাথের উপস্থাপনা উল্লেখযোগ্য। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে মাখলা শিঞ্জিনীর প্রযোজনায় কেয়া চন্দের কোরিওগ্রাফি এবং তাঁর সহকারী তন্ময়ী চক্রবর্তীর উপস্থাপনা দর্শকদের নজর কেড়েছে।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে তোয়ীর উপস্থাপনা এবং সুপ্রতীক সেনগুপ্তের সেতারবাদন খুব উপভোগ্য হয়েছিল। তপন পণ্ডিতের লোকগানের সঙ্গে শিঞ্জিনীর নৃত্য প্রশংসনীয়। তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠানে ছিল শি়ঞ্জিনীর ছাত্রছাত্রীদের ‘নৃত্য যোগে যোগাসন’। এরপর তন্ময়ী চক্রবর্তীর নির্দেশনায় তোয়ীর খুদে শিল্পীদের ‘নাও ছাড়াইয়া দে’। দু’টি অনুষ্ঠানই সুন্দর। একক নৃত্যে তন্ময়ীর পরিবেশনা নজক কাড়ে। চতুর্থ ও শেষ দিনের অনুষ্ঠানে ছিল দুই প্রজন্মের শিল্পী কেয়া চন্দ ও তন্ময়ী চক্রবর্তীর ‘যুগলবন্দি’। অনুষ্ঠানে ফুটে উঠেছিল শিল্পীদ্বয়ের নিপুণতা। কণ্ঠসংগীতে ভাবনা দুবের গজল ও ঠুমরি অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা এনেছিল। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংস্থার সম্পাদক তপন চক্রবর্তী।