হাওড়ায় ছাত্রীর মৃত্যুতে কাটল না রহস্য

হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্সির ছাত্রী গরিমা ধানুকার (২০) মৃত্যু রহস্যের কোনও সূত্র এ পর্যন্ত না মিললেও পুলিশের ধারণা, গঙ্গায় ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা ওই তরুণী টিউশন নিতে বেরিয়ে কী করে গঙ্গায় ডুবে মারা গেলেন, সেই প্রশ্নের সদুত্তর এখনও মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩৩
Share:

গরিমা ধানুকা

ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মেয়েকে টোটোয় তুলে দিয়েছিলেন মা নিজেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই মেয়ের দেহ পাওয়া যায় গঙ্গার ঘাটে। এই ঘটনায় রহস্যের জট কাটেনি শনিবার রাত পর্যন্ত। ওই টোটোচালকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্সির ছাত্রী গরিমা ধানুকার (২০) মৃত্যু রহস্যের কোনও সূত্র এ পর্যন্ত না মিললেও পুলিশের ধারণা, গঙ্গায় ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু বটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা ওই তরুণী টিউশন নিতে বেরিয়ে কী করে গঙ্গায় ডুবে মারা গেলেন, সেই প্রশ্নের সদুত্তর এখনও মেলেনি। পুলিশ জানায়, তরুণীর ব্যাগে থাকা পাঁচ হাজার টাকা, ঘড়ি, মোবাইল, কানের সোনার দুল কী করে উধাও হল, তা নিয়েও রহস্য দানা বেঁধেছে। গঙ্গার ঘাটে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে তদন্ত এগোনোর চেষ্টা করছে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ বার্ন স্ট্যান্ডার্ড ঘাটের কাছে ওই তরুণীর দেহ ভাসতে দেখে। দেহটি উদ্ধার করে উত্তর বন্দর থানায় নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন থানায় গিয়ে গরিমার দেহ শনাক্ত করেন। কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি শনিবার ধানুকা পরিবারের বাড়িতে এসে ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন হাওড়া সিটি পুলিশের অফিসারেরাও। পুলিশ জানায়, ওই তরুণী কোনও মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। অন্য দিন সাড়ে ছ’টায় বেরোলেও শুক্রবার কেন আগে বেরিয়েছিলেন, তা জানতে চলছে তদন্ত। পুলিশের বক্তব্য, টোটোচালকের খোঁজ পেলে কিছুটা রহস্য কাটাবে। গরিমা টোটো থেকে কোথায় নেমেছিলেন, তা জানা যাবে।

Advertisement

শনিবার ধানুকা পরিবারের বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা যায়, আত্মীয় ও পড়শিরা ভিড় করেছেন সেখানে। মৃতার দাদা বৈভব ধানুকা বলেন, ‘‘শুক্রবার সকাল ৯টার পর থেকেই ওকে ফোনে পাইনি। আমি ওর কর্মস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ছবি পরীক্ষা করেছি। ও অফিসেও যায়নি।’’ তদন্তকারীরা গরিমার মোবাইলের কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখছেন। সেই সঙ্গে শহরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তরুণী একাই গঙ্গার ঘাটে গিয়েছিলেন কি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন