এক বধূকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে হাওড়ার জয়পুরের রঞ্জবাড় গ্রামের বছর তেইশের তহমিনা বেগমের গায়ে কেরোসিন তেল লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁরই প্রতিবশী রিঙ্কু মোল্লার বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বধূকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ৩০ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। বধূর স্বামী শেখ ইমাদুলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রিঙ্কুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। উল্লেখ্য, রিঙ্কু তৃণমূল কর্মী। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইন তার নিজের পথে চলবে।
অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই রিঙ্কু পালিয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় রিঙ্কু সোমবার রাতে তার বাড়িতে ফিরেছে। ওই রাতেই সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে উলুবেড়িয়া এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, হেফাজতে থাকাকালীন ধৃতকে দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হবে। উল্লেখ্য, তহমিনার বাপের বাড়ি শেওড়াবেড়িয়া গ্রামে। তাঁর বছর দশেক আগে বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়িতে প্রতিবেশী রিঙ্কু তাঁকে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমায়। এর পর তাঁর কাছ থেকে যখন তখন টাকা চাইত সে। অভিযোগ, ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে তহমিনা যখন ঘরে একা ছিলেন তখন রিঙ্কু তাঁর গলার হার চাইতে আসে। তহমিনা দিতে না চাওয়ায় তাঁর গায়ে রিঙ্কু কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।