আর দু’দিন পর বড়দিন। আর কেক ছাড়া কি বড়দিন পালন হয়! বাজার মাতাতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা হাজির তাদের ফ্রুটস কেক, পাম কেক, চকোলেট কেকের সম্ভার নিয়ে। তবে ব্যান্ডেলের বেকারি পাড়া সেই স্বাদে কিছুটা বদল আনতে চলেছে। তাদের নতুন চমক-‘নলেন গুড়ের কেক’।
প্রতি বছরই নতুন কোনও চমক দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে এই শহর। শহরের বেকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরও ফ্রুটস কেকের চাহিদা বেশি। সঙ্গে রয়েছে আরও ২০ রকমের ফ্লেভারের কেক। তবে মূল আকর্ষণ নলেন গুড়ের কেক। কী ভাবে তৈরি হচ্ছে এই কেক?
এক বেকারি কর্মী জানালেন, সাধারণত যে রকম কেক তৈরি করা হয়, এই কেকের প্রাথমিক উপাদান সেই ময়দাই। তবে ময়দার মণ্ডের মধ্যে মেশানের হচ্ছে নলেন গুড়। উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কাজু-কিসমিস আর খোয়া ক্ষীরের গুঁড়ো। আর তাতেই কেল্লা ফতে। এমন কেকের দাম শুরু হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে। পরিমাণ অনুযায়ী বাড়বে দাম।
শুধু তাই নয়, নিরামিষাশিদের জন্যও রয়েছে সুখবর। ডিমে সাধারণত কেক মেশানো হয়। কিন্তু যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের অনেকই ডিমের গন্ধে নাক সেঁটকান। এ বার তাঁদের জন্য অপেক্ষা করেছে ভেজিটেবল কেক, ভেজিটেবল চকলেট কেক, বাটার অ্যালমনির মতো নানা সম্ভার।
ব্যান্ডেলের একটি বেকারির কর্ণধার নুরুল সরকারের কথায়, ‘‘এ বছরে নলেন গুড়ের কেকের চাহিদা সব থেকে বেশি। খেজুরের গুড় দিয়ে সাধারণত মিষ্টি তৈরি হয়। এ বার বড়দিনের তরফে উপহার গুড়ের কেক।’’ জেলার বিভিন্ন দোকানেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে গুড়ের কেক। কেক বিক্রেতা সত্যব্রত দাস বলেন, ‘‘প্রতি বছরের মতো এ বারও ফ্রুটস কেকের চাহিদা রয়েছে। তবে গুড়ের কেকের চাহিদা ভালই।’’
মায়ের সঙ্গে গিয়ে নলেন গুড়ের কেক নিয়ে এসেছে ছোট্ট মিলি। হাসতে হাসতে সে বলে, ‘‘এতদিন তো গুড়ের সন্দেশ, মোয়া খেয়েছি। এ বার কেকও খেলাম। দু’বার কিনে নিয়ে গিয়ে আমি খেয়ে ফেলেছি। বড়দিনের সকালে আবার খাব।’’