এসএসকেএম হাসপাতাল
ডাক্তারিতে ভর্তি করানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর থেকে এক ব্যক্তিকে ধরার পরে ওই চক্রের আরও এক সদস্যকে গ্রেফতার করল বেহালা থানার পুলিশ। সোমবার রাতে, হাওড়ার বেলুড় থেকে। ধৃতের নাম অভিষেক মজুমদার।
পুলিশ জানায়, ধৃত হুগলির এক বিচারকের আত্মীয়। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি মাসে ডাক্তারিতে ভর্তি করানোর নামে দিল্লির বাসিন্দা স্বপ্না ঠাকুরের সঙ্গে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে, এমন অভিযোগ পেয়ে এসএসকেএম চত্বর থেকে ধরা হয় বিষ্ণুদেব প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তিকে। তাকে জেরা করে সঙ্গী চন্দন পাণ্ডাকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পারে, শুধু স্বপ্না নয়, জয়েন্টের মেধা তালিকার পিছনে থাকা পরীক্ষার্থীদের অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করত ধৃতেরা।
লালবাজার সূত্রে খবর, গত শুক্রবার বেহালার বাসিন্দা শ্রীজিতা বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ওই চক্রের ধৃতেরা তাঁর মেয়েকে ডাক্তারিতে ভর্তি করিয়ে দেবে বলে দু’দফায় পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু ভর্তি করায়নি। টাকাও ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। শনিবার বেহালা থানার পুলিশ বিষ্ণুদেব এবং চন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘অভিযোগকারী প্রতারকদের ওই টাকা চেক মারফত দিয়েছিলেন। যা অভিষেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল।’’ পুলিশের দাবি, ধৃতেরা আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের সদস্য। বাকিদের খোঁজ চলছে।