ছবি: দীপঙ্কর দে।
বামফ্রন্ট পরিচালিত পঞ্চায়েতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার চণ্ডীতলা ২ ব্লকের বাকসার ঘটনা। পুলিশ গিয়ে গোলমাল থামায়। বাকসা পঞ্চায়েতে মোট আসন ১২। সিপিএম ৬ এবং আরএসপি ১টি আসন দখল করে। তৃণমূলের রয়েছে ৪টি আসন। একটি বিজেপির দখলে। তৃণমূলের অভিযোগ, মাস কয়েক আগে এক সিপিএম নেতাকে ‘অনৈতিক’ ভাবে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত শংসাপত্র দেওয়া হয় এই অভিযোগ তুলে এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক পঞ্চায়েতে জড়ো হয়। নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা পিন্টু মান্না। কেন স্থানীয় তৃণমূল সদস্যাকে না জানিয়ে গোপনে শংসাপত্র দেওয়া হল— তা জানতে চেয়ে চেঁচামেচি শুরু করে তারা। অভিযোগ, পঞ্চায়েতে ভাঙচুর করে হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য লাঠি চালানোর কথা মানেনি। পিন্টুবাবুর দাবি, সিপিএমের প্রাক্তন উপপ্রধান বেআইনিভাবে তাঁর শ্বশুরের উত্তরাধিকার সংক্রান্ত শংসাপত্র পঞ্চায়েত থেকে বের করেছেন। এ নিয়ে প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে যান তাঁরা। কেউ ভাঙচুর করেনি। তিনি জানান, একটি অর্থলগ্নি সংস্থার আমানতকারীদের বহু টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই উপপ্রধান। কিছু আমানতকারী তাঁকে খুঁজতে পঞ্চায়েতে এসেছিলেন। তাঁরাই ভাঙচুর করেন।
পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের পলি মিত্রের অভিযোগ, ‘‘বিধানসভা ভোটের পর থেকেই নানা ভাবে পঞ্চায়েত দখল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কোনও অনিয়ম হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতে ভাঙচুর করেছে ওরা।’’ ভাঙচুরের চিহ্ন।