রণক্ষেত্র বালি স্টেশন

রেল সূত্রের খবর, তিন-চার মাস ধরে বালি হল্ট স্টেশনের নীচে হাওড়া শাখার বালি মেন ও কর্ড শাখার লাইন পারাপার করা যাত্রীদের আটক করছিল জিআরপি। মোবাইল নিয়ে লাইনের পাশে হাঁটা ও লাইনে প্রস্রাব করা যাত্রীদেরও আটক করা হচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১২
Share:

বেশ ক’মাস ধরে চলছে রেলপুলিশের জুলুম— এই অভিযোগে যাত্রী বিক্ষোভে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বালি স্টেশন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বন্ধ থাকল ট্রেন চলাচল। রেলপুলিশ ও ট্রেন লক্ষ করে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি আরপিএফের ক্যাম্পে ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠল যাত্রীদের বিরুদ্ধে। দফায় দফায় জিআরপি ও আরপিএফকে লাঠি চার্জ করতে হয়। ট্রেন চলাচল শুরু হয় রাত সাড়ে আটটার পরে।

Advertisement

রেল সূত্রের খবর, তিন-চার মাস ধরে বালি হল্ট স্টেশনের নীচে হাওড়া শাখার বালি মেন ও কর্ড শাখার লাইন পারাপার করা যাত্রীদের আটক করছিল জিআরপি। মোবাইল নিয়ে লাইনের পাশে হাঁটা ও লাইনে প্রস্রাব করা যাত্রীদেরও আটক করা হচ্ছিল।

যাত্রীদের অভিযোগ, বেলুড় জিআরপি থানায় নিয়ে গিয়ে জরিমানা করা হলেও কাউকেই রসিদ দেওয়া হয় না। এ দিনও সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এমনই এক যাত্রীকে জিআরপি আটক করে জরিমানা করে। অভিযোগ, তিনি রসিদ চাইলেও কর্তব্যরত রেলপুলিশ কর্মী দিতে চাননি। তখনই বচসা শুরু হয়। অবরোধ করা হয় মেন ও কর্ড লাইন। দাঁড়ানো ট্রেনে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। কিছু যাত্রী আহত হন। হামলা হয় আরপিএফ ক্যাম্পে। অভিযোগ, বেধড়ক পেটানো হয় রেলপুলিশ ও আরপিএফকে। শেষে লাঠি চালাতে হয়।

Advertisement

আরপিএফের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট অমরেশ কুমার বলেন, ‘‘জিআরপি-র সঙ্গেই গোলমাল হয়েছে যাত্রীদের। কিন্তু কী নিয়ে, তা স্পষ্ট নয়।’’ তবে হাওড়ার রেলপুলিশ সুপার নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যাত্রীদের সঙ্গে প্রায়ই টিকিট পরীক্ষকদের ঝামেলা হয়। তার উপরে জিআরপি-র কড়াকড়ি। তাই হয়তো যাত্রীরা অসন্তুষ্ট হয়ে পড়েছেন।’’ তবে রসিদ না দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন