—প্রতীকী ছবি।
আট মাস ধরে বন্ধ হুগলি জেলার তিনটি চটকল খোলার কোনও লক্ষণ নেই। লোকসভা ভোটের মুখে দিন চারেক আগে শ্রীরামপুরের সিমলায় বন্ধ হওয়া বিস্কুট কারখানার ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।
বৃহস্পতিবার ওই কারখানার মালিক জয় আগরওয়াল বলেন, ‘‘কারখানার জমি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলাম। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত উপার্জন না-হওয়ায় ঋণ শোধ করতে পারছি না। কোনও সংস্থা যদি এখানে কিছু করতে চায়, সেই চেষ্টা করা হবে। তবে কী হবে, এখনই বলার মতো অবস্থায় আমরা নেই।’’
শ্রীরামপুরের সিমলায় দিল্লি রোডের ধারে ‘প্রিয়া ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড’ নামে ওই কারখানা গড়ে ওঠে মাত্র বছর আড়াই আগে। মূলত আর্থিক সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে সোমবার থেকে সেখানে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং উৎপাদন খরচের কারণে লাভের মুখ দেখা যাচ্ছিল না। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতে না-পারায় তাঁরা আরও সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। ফলে, এই মুহূর্তে কারখানা চালানোর মতো জায়গায় তাঁরা নেই।
শ্রমিক সংগঠনের দাবি, বন্ধের জেরে কারখানার দু’শোরও বেশি শ্রমিক (কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিকসংখ্যা দেড়শো) সমস্যায় পড়েছেন। শ্রমিকদের আশঙ্কা, দ্রুত কারখানা না-খুললে সংসার চালানো তাঁদের পক্ষে কষ্টকর হবে। কিন্তু কবে কারখানা খুলবে, তা নিয়ে মালিকপক্ষ আশার আলো দেখাতে পারছেন না। বুধবার স্থানীয় রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েতে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মালিকপক্ষ বৈঠকে বসেন। আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কাবুল মুখোপাধ্যায় এবং সহ-সভাপতি তথা পঞ্চায়েত প্রধান মোহন মণ্ডল বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক ঋণ শোধের জন্য তাগাদা দিচ্ছে। কিন্তু কারখানা দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। কর্তৃপক্ষ চাইছেন, অন্য কোনও সংস্থার হাতে কারখানা তুলে দিতে। আমরা বলেছি, সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রমিককে কাজে নিয়ে উৎপাদন চালু করতে হবে। শ্রমিকদের ইএসআই, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও নিয়মিত ভাবে জমা দিতে হবে।’’